প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৫, ১২:২০
চট্টগ্রামের কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর রেলসহ সড়ক সেতু নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রামের সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণে ভিত্তিপ্রস্তর ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে তিনি এই প্রকল্পের শুভ সূচনা করেন।
চট্টগ্রাম বন্দরে এক মতবিনিময় সভা শেষে সড়কপথে সার্কিট হাউসে পৌঁছান অধ্যাপক ইউনূস। দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই ছিল তাঁর প্রথম চট্টগ্রাম সফর। তিনি বলেন, কালুরঘাট ব্রিজের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত স্মৃতির সম্পর্ক রয়েছে এবং এটি ঐতিহাসিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। নতুন সেতু নির্মাণের মাধ্যমে এই অঞ্চলের মানুষের বহুকালের কষ্টের অবসান হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, বর্তমান কালুরঘাট সেতুটি ১৯৩১ সালে নির্মিত হয়েছিল এবং এর মেয়াদ ২০১১ সালেই শেষ হয়েছে। ফলে এই নতুন সেতু নির্মাণ ছিল দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি। তিনি বলেন, নতুন সেতু নির্মাণে বোয়ালখালীসহ আশেপাশের মানুষ অত্যন্ত খুশি।
নতুন সেতুটির নির্মাণকাজ ২০২৯ সালের মধ্যে শেষ করে ২০৩০ সালে চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। এই সেতু শুধু যোগাযোগ নয়, অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা এ সময় বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর কেবল বাংলাদেশের নয়, বরং নেপাল, ভুটান এবং ভারতের সেভেন সিস্টার্স অঞ্চলের জন্যও হৃৎপিণ্ডস্বরূপ।
প্রধান উপদেষ্টার এই সফর ঘিরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছিল বিশেষ প্রস্তুতি। সার্বিক নিরাপত্তা ও গণপরিসরে চলাচল নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসন সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
দুপুরে অধ্যাপক ইউনূস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে যোগ দেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগেই শুরু হয়েছিল তাঁর শিক্ষকতা জীবন।
সফরের একপর্যায়ে তিনি হাটহাজারীর শিকারপুর ইউনিয়নের বাথুয়া গ্রামে পৈতৃক বাড়ি পরিদর্শন করেন এবং পরে যান ঐতিহাসিক জোবরা গ্রামে, যেখানে তিনি ক্ষুদ্রঋণ ধারণার ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন যা পরে সারা বিশ্বে আলোচিত হয়।