প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৫, ১৬:২৫
খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার ৩নং পানছড়ি ইউনিয়নের দমদম গ্রামে মানুষের চলাচলের প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত একটি গ্রামীণ রাস্তা এখন যেন দুর্ভোগের নামান্তর। পানছড়ি বাজার থেকে শনটিলা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
রাস্তার বিভিন্ন অংশে খানাখন্দ ও গর্তে ভরপুর, যার ফলে প্রতিদিন এ পথে চলাচলরত মানুষজনের জন্য তা হয়ে উঠেছে এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। বিশেষ করে বর্ষাকালে রাস্তার অনেক অংশেই জমে থাকে হাটু সমান পানি। এতে পথচারী থেকে শুরু করে যানবাহনের যাত্রীরা প্রতিনিয়ত পড়ছেন বিপাকে।
এই সড়ক ব্যবহার করে প্রতিদিন চলাচল করে হাজারো মানুষ। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ নানা যানবাহন চলাচল করলেও রাস্তাটি এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে, প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। গর্তে পড়ে যানবাহনের চাকা আটকে যাওয়া, যাত্রী পড়ে যাওয়া কিংবা যান বিকল হওয়া যেন নিত্যদিনের ঘটনা।
রাতে এই রাস্তায় চলাচল আরো ভয়ংকর হয়ে ওঠে। চারপাশে অন্ধকার আর খানাখন্দের কারণে ছোট একটি অসাবধানতা বড় দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই অবস্থায় জরুরি প্রয়োজনে রাতের বেলায় চলাচল করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তার একপাশে পাহাড় কাটা ও অন্যপাশে বসতবাড়ি হওয়ায় রাস্তার উন্নয়ন কাজে নানান জটিলতা তৈরি হয়েছে। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে অবহেলায় পড়ে থাকায় রাস্তাটির এই দুরাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। অথচ প্রতিদিন প্রায় আট থেকে নয় হাজার মানুষ এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে।
অটোরিকশা চালক ফারুক হোসেন বলেন, “বর্ষাকালে রাস্তায় পানি জমে থাকে, গর্তে গাড়ি পড়ে বিকল হয়ে যায়। অনেক সময় যাত্রীদের নামিয়ে গাড়ি ঠেলে গর্ত পার করতে হয়। আমরা খুব কষ্ট করে এ রাস্তা দিয়ে চলি।”
স্থানীয় গ্রামবাসী আলমগীর হোসাইন বলেন, “পানছড়ি বাজারে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই, অথচ এই রাস্তা দিয়ে হাঁটতেই ভয় লাগে। একটু অসাবধান হলেই পড়ে যেতে হয়। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করুন।”
স্থানীয়দের প্রাণের দাবি, অবিলম্বে রাস্তাটি সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করে তুলুক সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। না হলে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাটি আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে, যা জনজীবনকে করে তুলবে আরও দুর্বিষহ।