প্রকাশ: ৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:৫০
জেলা প্রশাসকরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মারণাস্ত্র এবং ছররা গুলি নিষিদ্ধের প্রস্তাব দিয়েছেন। জনবিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে এসব অস্ত্র ব্যবহারের পরিবর্তে বিকল্প উপায় খুঁজে বের করার তাগিদ দিয়েছেন তারা। আগামী ডিসি সম্মেলনে এ বিষয়টি উত্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ডিসি সম্মেলন সাধারণত প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয়। তবে এবারের সম্মেলন বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে, কারণ এটি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম সম্মেলন। ডিসি এবং বিভাগীয় কমিশনারদের প্রস্তাব ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
প্রস্তাবে উঠে এসেছে, সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ছররা গুলির ব্যবহার মানুষের শারীরিক ক্ষতির পাশাপাশি প্রাণহানির ঝুঁকি তৈরি করেছে। এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে মারণাস্ত্র এবং ছররা গুলি নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন কিছু জেলা প্রশাসক। এ প্রস্তাবকে সমর্থন করে মতামত তৈরি করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।
কয়েকজন ডিসি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বডি ক্যামেরা বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব দিয়েছেন। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনাগুলোকে কেপিআই নিরাপত্তার আওতায় আনারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
আগামী ডিসি সম্মেলনে এসব প্রস্তাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। সম্মেলনে সরকারের নীতিনির্ধারকরা উপস্থিত থাকবেন এবং মাঠ প্রশাসনের সমস্যাগুলো সমাধানের দিক নির্দেশনা দেবেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই প্রস্তাবগুলো স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার আওতায় বাস্তবায়নের উপযোগিতা বিবেচনা করা হবে।
এবারের সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা সভাপতিত্ব করবেন এবং জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেবেন। এটি বর্তমান সরকারের সামগ্রিক নীতিমালার প্রয়োগ এবং মাঠ পর্যায়ের সমস্যাগুলো সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ডিসি সম্মেলনে জেলা প্রশাসকরা তাঁদের এলাকার চ্যালেঞ্জ এবং উন্নয়নের বিষয়গুলো তুলে ধরে থাকেন। এর ভিত্তিতে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এবারের সম্মেলনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর এবং মানবিক পদ্ধতির ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।