প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৫, ১৮:৩২
রাজনৈতিক সংস্কারের প্রস্তাবনা নিয়ে চলমান সংলাপে বড় ধরনের অগ্রগতি হয়েছে। সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে, একজন ব্যক্তি জীবনে সর্বোচ্চ ১০ বছরের বেশি সময় প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকতে পারবেন না। এই সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক উল্লেখ করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ জানান, এটি আগামী ‘জুলাই সনদে’ অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
রোববার (২৭ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১৯তম দিন শেষে ড. রীয়াজ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সোমবার (২৮ জুলাই) এর মধ্যে সব রাজনৈতিক দলকে ‘জুলাই সনদ’-এর খসড়া পাঠানো হবে এবং সনদে স্বাক্ষরের তারিখও শিগগির নির্ধারণ করা হবে।
তিনি জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে আগামী তিন দিনের মধ্যেই আলোচনা শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে ঐকমত্য কমিশনের। এই আলোচনার পর চূড়ান্ত রূপরেখা নির্ধারিত হবে, যা দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য গাইডলাইন হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
আজকের সংলাপের মূল ফোকাস ছিল রাষ্ট্রপরিচালনার মৌলিক নীতি, নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ এবং স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন। এই তিনটি বিষয়ে সব দল একমত হয়েছে বলে দাবি করেন ড. আলী রীয়াজ।
তিনি আরও বলেন, “২০টি আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে ১০টি বিষয়ে ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটিতে মতভেদ থাকলেও তা লিখিতভাবে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ আকারে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।”
বাকি সাতটি বিষয়ে এখনো আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে এবং তিনটি বিষয়ে আজ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আলোচনা রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছেন ঐকমত্য কমিশনের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।
তিনি আরও বলেন, “নাগরিকদের অধিকারের বিস্তারে রাজনৈতিক দলগুলো একসাথে কাজ করতে রাজি হয়েছে, এটা অত্যন্ত ইতিবাচক দিক।”
ড. রীয়াজ জানান, যেকোনো মূল্যে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এই সংস্কারভিত্তিক সংলাপ শেষ করতে চায় ঐকমত্য কমিশন, যাতে দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া একটি স্থায়িত্বপূর্ণ রূপরেখার ভিত্তি পায়।