প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৩, ১৬:৫৬
সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার একদফা দাবিতে পদযাত্রার কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে বিএনপিসহ যুগপৎ আন্দোলনের শরিকেরা। অন্যদিকে, ‘শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা’ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দু’ পক্ষের এ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে ঢাকার রাস্তায় ব্যাপক যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। যানজটে স্থবির হতে পারে ঢাকা।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সকাল থেকে শুরু করে টানা বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর একাধিক পয়েন্টে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করবে। সকাল সাড়ে ১০টায় গাবতলী এস এ খালেক বাস স্টেশন সামনে থেকে এ পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু হবে।
অন্যদিকে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শাহবাগ থানার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা এবং সমাবেশের পর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে থেকে শাহবাগ, এলিফ্যান্ট রোড, সিটি কলেজের রাস্তা হয়ে ধানমন্ডি ৩২ বঙ্গবন্ধুর বাসভবন পর্যন্ত র্যালি করবেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
বড় দুই রাজনৈতিক দলের কর্মদিবসের দিনে এমন কর্মসূচিতে ‘স্থবির হতে পারে ঢাকা। এমনটিই আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ। অফিসগামী সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কর্মদিবসের দিনে এমন রাজনৈতিক কর্মসূচি অপ্রকাশিত। রাজনৈতিক দলগুলো সাধারণ মানুষের সুবিধার কথা চিন্তা না করে উল্টো কষ্ট দেয়। তাদের কাছে জাতি কি প্রত্যাশা থাকে?
রাজধানীর ফার্মগেট মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা আহমদ সালেহ ইনিউজকে বলেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। সকালে খুব ভয়ে ভয়ে বাসা থেকে বের হয়েছি সময়মতো অফিস যেতে পারবো কি না। এরপর সারাদিন দুশ্চিন্তা মাথায় থাকবে আজ পুরো রাজধানী থমকে যেতে পারে। বিকেলে অফিস ছুটি হলে বাসায় কীভাবে যাবো। আমাদের কথা শুনবে কেউ?
ছুটির দিনে রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আশরাফ নিজুম বলেন, ছুটির দিনে রাজনৈতিক প্রোগ্রামগুলো হলে সবার জন্যই সুবিধা হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা থাকে নিয়মিতই। ক্লাস-পরীক্ষা মিস করলে অনেক ক্ষতি হয়ে যায়।
রিকশাচালক কাসেম বলেন, শুনেছি আজ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিএনপির মিছিল। মিছিলে রিকশা চালানো যায় না। এমনিতেই ঢাকায় অনেক জ্যাম হয়। নিরুপায় দেখে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। কিন্তু কতক্ষণ চালাতে পারবো জানি না।