প্রকাশ: ২৩ মে ২০২১, ২০:৪৫
বিশ্বে কিভাবে দুর্যোগ মোকাবিলা করতে পারি সে কাজ আমরা করে যাচ্ছি। বাংলাদেশকে বিশ্ব দুর্যোগ মোকাবিলার অন্যতম দেশ হিসেবে সবাই দেখে। দুর্যোগ মোকাবিলার সক্ষমতা বিশ্বে সমাদৃত বাংলাদেশ।
রবিবার (২৩ মে) ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ২২৫ স্থাপনা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। এসময় তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মানুষের সহযোগীতার জন্য সব কাজ করেছে। যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের জন্য বহুমুখী ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুর্যোগে গৃহপালিত প্রাণির কথা বিবেচনা করেও আমরা কাজ করেছি।
তিনি বলেন, আগে বজ্রপাত রোধে বাড়ির পাশে তাল গাছ লাগানো হতো। বজ্রপাত যে প্রাকৃতিকভাবে রোধ করা যায় তা মানুষ ভুলেই গিয়েছিল। সবকিছু থেকে মানুষকে যেন সুরক্ষা করা যায় আমরা সেই ব্যবস্থা নিয়েছি। শুধু আজকের জন্য না আগামীর জন্য আমরা ডেল্টা প্লান নিয়েছি। ব-দ্বীপের মানুষ যেন নিরাপদে থাকতে পারে সেই পরিকল্পনা নিয়েছি। সবকিছু মোকাবিলা করে আমরা এগিয়ে যাব।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রতি জেলায় ত্রাণ গুদামের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় ফায়াস সার্ভিস স্টেশন নির্মানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দুর্যোগ পূবাভাস দেওয়ার ব্যবস্থা আমরা করবো, সেই চিন্তাও করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষকে নিয়ে রাজনীতি করেনি। তারা মানুষের কল্যাণে কাজ করছে। অন্য যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা নিজের পকেট ভাড়ি করার জন্য ব্যস্ত ছিল। মানুষের জন্য মানুষ, সেই চিন্তা করে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, করোনায় প্রত্যেকেই স্বাস্থবিধি মেনে চলবেন। জানি সবার কষ্ট হচ্ছে তারপরেও সবার নিরাপদের কথা চিন্তা করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এসময় অনুষ্ঠানে দুর্যোগমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক ঘূর্ণি ঝড়ে এক ঘণ্টা পর পর ফোন দিয়ে খোঁজ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যখন সবাই নিরাপদে ফিরে গেছে তখন ঘুমাতে গেছেন তিনি। আর এই কারণেই বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল।
উদ্বোধনকৃত ২২৫টি স্থাপনার মধ্যে রয়েছে ১১০টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, ৩০টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র, ৩০টি জেলা ত্রাণ ও গুদাম কাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্র ও ৫টি মুজিব কিল্লা উদ্বোধন এবং ৫০টি মুজিব কিল্লার ভিত্তিপ্রস্তর।