বিজিবিকে অনুরোধ রাজনৈতিক নেতারা যেনও পালিয়ে না আসে ভারতে - বিএসএফ

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার ৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:০২ অপরাহ্ন
বিজিবিকে অনুরোধ রাজনৈতিক নেতারা যেনও পালিয়ে না আসে ভারতে - বিএসএফ

দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারনে প্রচুর সাবেক সরকার দলের লকজন ভারতে পালাচ্ছে । এই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।


বিএসএফের এই অনুরোধ শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক মাসের মাথায় এসেছে। বিএসএফের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা বাংলাদেশ-ভারতের ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমান্তকে নিশ্ছিদ্র রাখতে বদ্ধপরিকর এবং সীমান্ত অঞ্চলের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।



বিএসএফের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার কলকাতায় ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিযুক্ত বিশেষ কমিটির সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়ে আলোচনা করেছে। বিএসএফ জানিয়েছে, ১২ আগস্টের পর থেকে তারা বিজিবির বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ৭২২টি বৈঠক করেছে। এছাড়াও, উভয় বাহিনী মিলে দুর্বল সীমান্ত পয়েন্টগুলোতে একযোগে ১ হাজার ৩৬৭টি সমন্বিত টহল (এসসিপি) পরিচালনা করেছে।


বিএসএফের বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সীমান্ত বৈঠকে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতীয় ভূখণ্ডে অবৈধ অনুপ্রবেশের বিষয়টি বিজিবিকে জানানো হয়েছে। বিজিবি তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, তারা ভারতীয় নাগরিক ও বাংলাদেশে বসবাসরত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।



বিএসএফের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উভয় বাহিনীর কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক যোগাযোগের মাধ্যমে সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য বাস্তব সময়ের ভিত্তিতে বিভিন্ন অপারেশনাল তথ্য আদান-প্রদান করছেন। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বিএসএফের কলকাতা সদর দপ্তরের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের নেতৃত্বে একটি জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি বিশেষভাবে বাংলাদেশে বসবাসরত ভারতীয় নাগরিক, হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করবে।




বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে নিরাপত্তা এবং অবৈধ অনুপ্রবেশের বিষয়টি দুই দেশের জন্যই অত্যন্ত সংবেদনশীল। সীমান্তবর্তী অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সমন্বিত উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তবে এ ধরনের পদক্ষেপ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা ও মানবাধিকার রক্ষা করাও জরুরি। ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে চলমান সহযোগিতা দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়।