ছিঃ৷ তওবা তওবা৷ নারী শরীর নিয়ে চর্চা? ইস৷ সেসব খোলাখুলি করে নাকি? লোকে কী বলবে? একটু লজ্জাশরম তো আছে নাকি? অতএব নারী শরীর নিয়ে আলোচনা একেবারে বন্ধ৷ সবাই জানে মেয়েদের শরীরে যেসব পরিবর্তন ঘটে সব স্বাভাবিক, প্রাকৃতিক৷ কিন্তু তবু সেসব নিয়ে কথা বলা বারণ৷ স্বভাবতই মেয়েরাও নিজের শরীর নিয়ে কথা বলতে দ্বিধা বোধ করে৷
স্তনবৃন্তের চারপাশে রোম
আমাদের শরীরের উপর তেলগ্রন্থি এবং রোমকূপ আছে৷ অতএব, স্তনের উপর রোমকূপ থাকা মোটেই আশ্চর্য নয়৷ বরং পুরোপুরি স্বাভাবিক। শরীরের মধ্যে হরমোনের ওঠাপড়ার এমনটা হতে পারে। কিন্তু এনিয়ে ভাবনার কিছু নেই।
দুই স্তনের আকার দুরকম
সত্যিই? এমনটাও হয়? তার মানে নিশ্চয়ই ওই মেয়ের মধ্যে কিছু গন্ডোগোল আছে৷ একেবারেই না৷ আমাদের দেহ সম্পূর্ণ প্রতিসম নয়৷ যদি ডান স্তনের আকার বাঁ স্তনের থেকে ছোটো হয়, বা উলটোটা, তাতে ঘাবড়াবার কিছু নেই৷ এর পিছনে একটি সুন্দর কারণ আছে৷ জিনগত কারণে এমনটা হয়ে থাকে৷ এমন হলে বুঝে নেবেন আপনার মধ্যে কিছু ভালো জিন আছে৷
স্তন ঝুলে পড়েছে?
বসয়কালে এমন হয়৷ দেহের চামড়ার আঁটসাট বাঁধন আলগা হয়ে যায়৷ ফলে চামড়া কুঁচকে যায়৷ আপনার স্তন দেহ থেকে আলাদা নয়৷ স্বাভাবিকভাবে এর প্রভাব পড়ে স্তনেও৷ তবে ধূমপান, ব্রেস্ট ফিডিং ও তাড়াতাড়ি ওজন ঝরালেও এই প্রবণতা দেখা যায়৷
ভ্যাজাইনার গন্ধ
এটা কোনও ঘৃণার বস্তু নয়৷ প্রত্যেকের ভ্যাজাইনায় স্বতন্ত্র গন্ধ থাকে৷ এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক গন্ধ৷ যতক্ষণ না ভ্যাজাইনা থেকে পচা মাছেক গন্ধ বের হচ্ছে, ততক্ষণ সব ঠিক আছে৷ কিন্তু যদি এমন গন্ধ বের হয়, তবে চিকিৎসকের কাছে যেতে দ্বিধা করবেন না৷ হয়তো সেখানে ইনফেকশন হয়েছে৷ কখনও অবশ্য হরমোনাল কারণেও এমন হয়৷ কিন্তু তবু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া ভালো৷
ভ্যাজাইনা থেকে নির্গত ফ্লুইড
ভ্যাজাইনা থেকে একধরণের সাদাটে ফ্লুইড নির্গত হয়৷ এটি আদতে ভালোই৷ ভ্যাজাইনা পরিস্কার রাখতে এই ফ্লুইড সহায়তা করে৷ তবে এর রঙের দিকে নজর রাখা দরকার৷ অনেকে ভ্যাজাইনা পরিষ্কার করার জন্য গরম জল বা সাবান ব্যবহার করেন৷ এসব কিন্তু অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার৷ কারণ ভ্যাজাইনার একটি নির্দিষ্ট pH স্কেল থাকে৷ সাবান ব্যবহার করলে এই pH লেভেল পালটে যেতে পারে৷ এর ফলে হতে পারে ইনফেকশন৷
ভ্যাজাইনা যখন শুষ্ক
ভয় পাওয়ার কিছু নেই৷ কিছু কিছু মহিলার এমন হয়ে থাকে৷ তবে এটা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ঘটনা৷ কিছু কিছু সময় কোনও কোনও মহিলার ভ্যাজাইনা শুষ্ক থাকে৷ তবে সেই সময় যদি আপনি সেক্স করতে চান, তাহলেই বিপদে পড়বেন৷ তাও যদি মন না মানে, পার্টনারকে বলুন তৈলাক্ত কিছু ব্যবহার করতে৷ তা সত্ত্বেও যদি অসুবিধা হয় তবে গায়নেকোলজিস্টের সঙ্গে কথা বলুন৷
ভ্যাজাইনার শব্দ
ভ্যাজাইনার শব্দ খুব সাধারণ৷ একে “কুইফস” বলে৷ অনেক কারণে এই শব্দ হয়৷ বিশেষত যখন ভ্যাজাইনার মধ্যে বায়ু চলে যায়, আবার বেরিয়ে আসে, তখন এমন শব্দ হয়৷ সেক্স করার সময় এমন শব্দ প্রায়শই হয়ে থাকে৷ আপনার পার্টনার যদি এবিষয়ে না জানেন, তবে তাকে জানিয়ে দিন৷ অনেকসময় শরীরচর্চা করার সময়ও শব্দ করে ভ্যাজাইনা৷
ভ্যাজাইনায় আঘাত
ভ্যাজাইনার দুই দ্বারের মধ্যে ঘর্ষণ হতেই পারে৷ এটাও সাধারণ একটি বিষয়৷ হতে পারে আপনি ওই স্থানে ওয়্যাক্সিং করেছেন৷ সম্প্রতি ভরতে শুরু করেছে রোমকূপ৷ তাই খোঁচা লাগছে৷ কিন্তু সবসময় এমনটা হয় না৷ যদি না হয়, তাহলে ইনফেকশন হতে পারে৷ সেক্ষেত্রে আপনার উচিত চিকিৎসকের সাহায্য নেওয়া৷
যদি যোনিদ্বার দেখতে অস্বাভাবিক হয়
এর জন্য পর্নোগ্রাফির ধন্যবাদ প্রাপ্য৷ এর জন্যই আমরা জানতে পেরেছি ভ্যাজাইনা ঠিক কীরকম দেখতে৷ এবিষয়ে আমাদের একটা স্বচ্ছ্ব ধারণা আছে৷ কিন্তু এটা সত্যি নয়৷ প্রত্যেকের ভ্যাজাইনা দেখতে আলাদা৷ বিশেষত যোনিদ্বার৷ যোনিদ্বারের দরজা বড় হলে ক্ষতি নেই, ছোটো হলেও স্বাভাবিক৷ এনিয়ে ভাবনার কোনও অবকাশ নেই৷
প্রথমবার যৌনতা, কষ্টকর
জীবনে প্রথমবার যৌনমিলন সবার কাছে উত্তেজনাপূর্ণ থাকে৷ কিন্তু সাবধান৷ প্রথমবার যৌনমিলন আপনার জন্য কষ্টকর হতে পারে৷ কারণ আপনার ভ্যাজাইনার এমন অভিজ্ঞতা আগে হয়নি৷ তাই সাবলীল হতে খানিকটা সময় তো লাগবেই৷ তবে ব্যথা যদি ক্রমাগত হতেই থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন৷
তথ্যসূত্র: কলকাতা২৪
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।