প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:৭
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, গুমের মামলায় সেনা হেফাজতে থাকা ব্যক্তিদের বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তিনি বলেন, আনুষ্ঠানিক তথ্য পাওয়ার পর আইন অনুযায়ী পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে। রোববার দুপুরে রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, গুমের মামলায় সেনা কর্মকর্তারা হেফাজতে আছেন এমন তথ্য আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। আইন অনুযায়ী, এমন কোনো তথ্য পেলে ট্রাইব্যুনালই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম আরও বলেন, গুম-খুনের মতো অপরাধের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে নির্ধারিত একটি প্রক্রিয়া অনুসারেই সম্পন্ন হবে। আইনের বিধান অনুযায়ী, এই মামলাগুলোতে বিচার করার পূর্ণ এখতিয়ার রয়েছে ট্রাইব্যুনালের, এবং এই আইনের বিধান চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, যদি কোনও আসামিকে সেনাবাহিনী বা অন্য কোনো সংস্থা গ্রেপ্তার করে থাকে, তবে আইন অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাকে আদালতে হাজির করতে হবে। এরপর আদালতই সিদ্ধান্ত নেবেন পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পর্কে।
তাজুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইতোমধ্যেই সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব দফতরে পৌঁছেছে। এখন আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা দরকার যে আসামিদের হেফাজতে রাখা হয়েছে কিনা। এই নিশ্চিতকরণ ছাড়া ট্রাইব্যুনাল কোনও পদক্ষেপ নিতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, যদি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয় যে অভিযুক্তরা সেনা হেফাজতে আছেন, তাহলে ট্রাইব্যুনাল আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। গুমের মতো অপরাধ মানবতাবিরোধী অপরাধের পর্যায়ে পড়ে, তাই এ বিষয়ে সরকারের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা থাকা জরুরি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত অন্যান্য প্রসিকিউটররা বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল স্বাধীনভাবে তার আইনি দায়িত্ব পালন করছে। এই আদালতের কার্যক্রমে কোনও প্রভাব বিস্তার করার সুযোগ নেই, এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করতে সব সংস্থা সমন্বয় করে কাজ করছে।
তাজুল ইসলাম শেষ বক্তব্যে বলেন, ট্রাইব্যুনাল সর্বোচ্চ সততা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করছে। সেনাবাহিনী বা অন্য যে কোনো সংস্থা আইন মেনে চলবে, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা। জনগণও এখন চায়, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার যেন দ্রুত সম্পন্ন হয় এবং গুম-খুনের মতো অপরাধ আর না ঘটে।