প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২০:১৫
আগামী ১৭ অক্টোবর, শুক্রবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহুল আলোচিত জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান। মূলত জনসাধারণের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে অনুষ্ঠানটির তারিখ পরিবর্তন করে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর আগে ১৫ অক্টোবর বুধবার এ অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা জানানো হয়েছিল।
শনিবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠকে কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন এবং দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ সাংবাদিকদের জানান, জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, “জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠানটি আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা চাই, এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে দেশের সব শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত থাকুক।”
তিনি আরও জানান, অনুষ্ঠানটিতে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোর প্রতিনিধিদের পাশাপাশি নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী সংগঠন, শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিরা আমন্ত্রিত থাকবেন। এতে দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ও সামাজিক ঐক্যের রূপরেখা উপস্থাপন করা হবে।
বৈঠকে আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। তারা অনুষ্ঠানের সার্বিক প্রস্তুতি, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও গণমাধ্যম কভারেজের দিকেও গুরুত্ব দেন।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “জুলাই সনদ শুধু একটি দলিল নয়, এটি হবে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ও সামাজিক ঐক্যের ভিত্তি। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে জনগণকে সরাসরি সম্পৃক্ত করা হবে।”
এদিকে, জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ইতোমধ্যে মঞ্চ নির্মাণ ও অন্যান্য প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আয়োজক কমিটি জানিয়েছে, অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে।
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশে একটি নতুন ঐকমত্যের অধ্যায় সূচনা হবে বলে আশা করছে কমিশন ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।