প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ১৮:২৮
গণঅভ্যুত্থান চলাকালে শহীদ আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধ ও ওয়াসিমসহ অন্যান্য শহীদদের জাতীয় বীর ঘোষণা না করার পেছনে কারণ জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। ১৪ জুলাই বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। দেশের চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই রুলকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্ট আইনজ্ঞরা।
আন্দোলনে শহীদদের প্রকৃত ও নির্ভরযোগ্য তালিকা প্রণয়ন করে তা গেজেট আকারে প্রকাশের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, সেই প্রশ্নও রুলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে ‘নতুন বাংলাদেশের জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণা করা হবে না কেন— সে বিষয়েও রুলে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির। তারা আদালতের কাছে নিজ নিজ অবস্থান ব্যাখ্যা করেন এবং রুলের যৌক্তিকতা নিয়ে মত দেন।
আদালত রুলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, শহীদদের স্মৃতি রক্ষায় জাতীয় স্বীকৃতি প্রদান কেন জরুরি, তা যথাযথভাবে উপস্থাপন করতে হবে।
সম্প্রতি জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনে প্রাণ হারানো শহীদদের নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে যথাযোগ্য স্বীকৃতি না থাকায় নানা মহলে অসন্তোষ বিরাজ করছে। অনেকের মতে, এ ধরনের স্বীকৃতি তাদের আত্মত্যাগকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় উন্নীত করবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শহীদদের স্বীকৃতি জাতীয়ভাবে নিশ্চিত করা হলে নতুন প্রজন্ম ইতিহাস সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাবে। তারা জাতির জন্য কী ত্যাগ করেছেন, তা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এদিকে সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলে এই রুলকে স্বাগত জানিয়ে বলা হয়েছে, দেশের আন্দোলনের ইতিহাসে যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাদের স্বীকৃতি জাতি হিসেবে আমাদের দায়িত্ব। এই রুলের মাধ্যমে সেই প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে বলে অনেকেই আশাবাদী।