মাগুরার আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার সপ্তম কার্যদিবসেও সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়নি। মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুজন চিকিৎসক আদালতে হাজির না হওয়ায় শুনানি স্থগিত রাখা হয়।
জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান বুধবার নতুন করে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মুকুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবী মুকুল জানান, ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক ডা. শামীম আহমেদ ও ডা. শাহিনা হককে সাক্ষ্য দিতে তলব করা হয়েছিল। তারা বারবার আদালতে অনুপস্থিত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
এটি তৃতীয়বারের মতো চিকিৎসকদ্বয়ের অনুপস্থিতিতে মামলার কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে সমন ও ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হলেও তারা আদালতে হাজির হননি।
মামলার প্রধান অভিযুক্ত হিটু শেখসহ অন্যান্য আসামিদের মঙ্গলবার সকালে ঝিনাইদহ জেলা কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। তবে সাক্ষীর অনুপস্থিতিতে তাদের ফের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ৮ বছর বয়সী আছিয়া ধর্ষণের শিকার হয়। ঘটনার সাত দিন পর ১৩ মার্চ ঢাকার সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মামলাটি জাতীয়ভাবে আলোড়ন সৃষ্টি করায় দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে আদালত বিশেষ তদারকি করছে। তবে চিকিৎসকদের বারবার অনুপস্থিতি মামলার গতি কমিয়ে দিয়েছে।
আইনজীবী মুকুল জানান, ফরেনসিক রিপোর্ট এই মামলার একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। চিকিৎসকদের সাক্ষ্য ছাড়া মামলার অগ্রগতি সম্ভব নয়। আদালতের নির্দেশনা সত্ত্বেও তাদের অবহেলা উদ্বেগজনক।
স্থানীয়রা দ্রুত বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করেছে কয়েক দফা। শিশু আছিয়ার পরিবার ন্যায়বিচারের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।