সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার উজান মেহেরপুর গ্রামে এক হতদরিদ্র পরিবারের যুবতীকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল স্থানীয় সন্ত্রাসী জাকারিয়া ও তার সহযোগীরা। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর পরিবার প্রতিবাদ করলে গত ৬ মার্চ দুপুর আড়াইটার দিকে জাকারিয়া ও তার বাহিনী ওই পরিবারের ওপর হামলা চালায়। তারা বাড়িঘর ভাঙচুর করে এবং যুবতীকে জোরপূর্বক তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে।
জানা গেছে, তাজ উদ্দিনের মেয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় বখাটে জাকারিয়ার উৎপাতের শিকার হচ্ছিল। সে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে জাকারিয়া তাকে রাস্তায় উত্ত্যক্ত করত ও কুপ্রস্তাব দিত। বিষয়টি তাজ উদ্দিন ও তার স্ত্রী রাছনা বেগম স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে জাকারিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। ঘটনার দিন সে তার দলবল নিয়ে তাজ উদ্দিনের বাড়িতে হামলা চালায় এবং তার মেয়েকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে।
প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসীরা তাজ উদ্দিনের মেয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে লোহার পাইপ দিয়ে আঘাত করে আহত করে এবং শ্লীলতাহানি করে। মেয়েকে রক্ষার চেষ্টা করলে তাজ উদ্দিন ও তার স্ত্রীকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। হামলাকারীরা লোহার রড ও দা নিয়ে তাজ উদ্দিনকে হত্যার চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়া সন্ত্রাসীরা যুবতীর গলা থেকে আধা তোলা ওজনের স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল ছিনিয়ে নেয়। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এখনো তারা সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় তাজ উদ্দিনের স্ত্রী রাছনা বেগম বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ থানায় জাকারিয়াসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় গুরুতর আহত করা, হত্যার চেষ্টা, লুটপাট ও হুমকির অভিযোগ আনা হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, জাকারিয়ার বিরুদ্ধে আগেও নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ছিল। কিন্তু যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় সে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।