মেহেরপুর জেলা জামায়াতের সাবেক আমির ও সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ছমিরউদ্দিনকে পুলিশের দায়ের করা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মেহেরপুর স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ওয়ালিউল ইসলামের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ মামলায় ছমির উদ্দীনকে ৮ নম্বর আসামি করা হয়। এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। সাম্প্রতিক সময়ে ছমির উদ্দীনের মা মারা গেলে দেশে আসেন তিনি।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতের তৎকালীন নায়েবে আমির দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর সেদিন জামায়াতে ইসলামের ডাকা দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলাকালে মেহেরপুর শহরের কোর্ট এলাকা থেকে বড়বাজার পর্যন্ত দেড় কিলোমিটারের মধ্যে রাস্তার দুপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় সে সময়ের মেহেরপুর সদর থানার এসআই গাজী ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে মেহেরপুর সদর থানায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতনামা আরও ৩৫০ জনকে আসামি করা হয়।
ওই ঘটনার পর ছমির উদ্দীন আমেরিকা চলে যান। এরপর ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি বিকেলে ছমির উদ্দিনের ছেলে জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি তারেক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে শহরের ইসলামী ব্যাংকের সামনে থেকে সদর থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। পরে ২০ জানুয়ারি বন্দর এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন তারেক। সেসময়ও ছমির উদ্দিন দেশে আসেননি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তার মা মারা গেলে দেশে আসেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।