সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ৯ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
পারভেজ সরকার স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার ১৪ই মার্চ ২০২৫ ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ৯ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ৯ বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় স্থানীয় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটির বাবা ধর্ষক মোহাম্মদ আলী নামে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরকে আসামী করে রায়গঞ্জ থানায় মামলা করেন। ঘটনাটি রবিবার সকালে উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের নাড়ুয়া এলাকায় ঘটে। শিশুটি দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী এবং অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলী নাড়ুয়া গ্রামের আব্দুল আলীমের ছেলে।


শিশুটির চাচী ও নানী জানান, নাড়ুয়া গ্রামের আব্দুল আলীমের বাড়িতে শিশু যত্ন কেন্দ্র রয়েছে। রবিবার সকালে শিশুটি তার ছোট ভাই-বোনকে সেখানে রেখে আসতে যায়। এসময় মোহাম্মদ আলী শিশুটিকে কৌশলে নিজ ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে মোহাম্মদ আলী তার মাথায় পানি ঢেলে সুস্থ করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বিকেলে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে সে ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ করে। পরদিন শিশুটিকে সিরাজগঞ্জ শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং চিকিৎসক দেখিয়ে ওষুধপত্র নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসা হয়। কিন্তু শিশুটির অবস্থা ক্রমশ অবনতি হওয়ায় বুধবার রাতে তাকে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


বিষয়টি জানার পর বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের যুগ্ম আহবায়ক ইয়াসির আরাফাত ইশান, যুগ্ম আহবায়ক মুনতাসির হাসান মেহেদী ও যুগ্ম সদস্য সচিব ইশরাত জাহান এশা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ধর্ষকদের সমাজ থেকে চিরতরে নির্মূল করতে হবে। তারা ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদন্ড নিশ্চিত করার দাবি জানান এবং নির্যাতিত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন।


সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক রায়হান খন্দকার জানান, শিশুটির শারীরিক অবস্থা এখন আশংকামুক্ত হলেও মানসিকভাবে সে এখনও সুস্থ নয়। ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে শিশুটির সিম্বল ল্যাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে।


রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটির বাবা বৃহস্পতিবার রাতে মামলা করেছেন। অভিযুক্ত আসামীকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে আসামীকে গ্রেফতার করা হবে এবং আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।