১২ দিন ধরে বিকল শেবাচিমের পিসিআর মেশিন

নিজস্ব প্রতিবেদক
এইচ.এম.এ রাতুল, জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল।
প্রকাশিত: সোমবার ২০শে ডিসেম্বর ২০২১ ০৬:০৯ অপরাহ্ন
১২ দিন ধরে বিকল শেবাচিমের পিসিআর মেশিন

করোনার নমুনা পরীক্ষার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ের (শেবাচিম) আরটি পিসিআর ল্যাব মেশিন গত ১২দিন ধরে বিকল হয়ে পরেছে। লো-ভোল্টেজের কারণে গত ৮ ডিসেম্বর থেকে মেশিনটি অকেজো হয়ে পরার ১২ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও মেশিনটি চালু করা সম্ভব হয়নি। 


সোমবার সকালে শেবাচিমের পিসিআর ল্যাবের প্রধান ডাঃ একেএম আকবর কবির জানিয়েছেন, পিসিআর মেশিনের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওভারসিস মার্কেটিং কোম্পানিকে তাৎক্ষণিক বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। 


নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে, মেশিনটির ওয়ারেন্টির সময় একবছর পার হওয়ায় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মৌখিক নয় লিখিতভাবে চিঠি পেলেই আসবে। ওয়ারেন্টির পরে সার্ভিস দিলে তার টাকা পরিশোধ করতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিঠির অপেক্ষায় রয়েছে। 


তবে পিসিআর মেশিনটি এভাবে অকেজো হয়ে পরে থাকলে অন্যান্য যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তাদের মতে, এর আগে শেবাচিম হাসপাতালের একাধিক মেশিনে সামান্য ত্রুটি দেখা দিলেও সেটি তাৎক্ষণিক মেরামত না হওয়ায় আর সচল করা যায়নি। 


বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, পিসিআর ল্যাবের ত্রুটির বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি প্রেরণসহ ফোনেও যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে প্রাপ্ত করোনার স্যাম্পল ভোলার ল্যাবে প্রেরণ করে রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। এদিকে দীর্ঘ কয়েক মাস পর পূর্ণরায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে বাড়ছে উপসর্গ নিয়ে ও আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।


 সোমবার সকালে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় করোনা ওয়ার্ডের আইসোলশনে চিকিৎসাধীন একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও করোনা শনাক্ত একজন ও আইসোলশন ওয়ার্ডে আটজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ এপ্রিল দক্ষিণাঞ্চলের সর্বপ্রথম আরটি পিসিআর ল্যাব চালু হয় শেবাচিম হাসপাতালে। ওই সময় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে বিভাগে প্রায় ছয় থেকে সাতশ’ নমুনা সংগ্রহ করা হলেও দৈনিক গড়ে দুইশ’ নমুনা পরীক্ষা করা হতো এই ল্যাবে।


 ওইসময় বাকি নমুনা ঢাকায় পাঠানো হলেও তার রিপোর্ট পেতে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে সংশ্লিষ্টদের। পরবর্তীতে গত আগস্ট মাসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এ ল্যাবে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন আরও একটি পিসিআর মেশিন সরবরাহ করা হয়। ওই মেশিনে দৈনিক গড়ে প্রায় সাতশ’ নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হতো। তবে পাওয়ার সাপ্লাইসহ আনুষাঙ্গিক কিছু যন্ত্রপাতির অভাবে অদ্যবর্ধি সেটি চালু করা সম্ভব হয়নি।