দক্ষিণাঞ্চলের অন্যান্য জেলার লঞ্চঘাটে যাত্রীর ঢল দেখা গেলেও, বরিশাল নৌ বন্দর ছিল প্রায় জনশূন্য। ঢাকা-বরিশাল নৌপথের বিলাসবহুল সাতটি লঞ্চ ছিল নোঙর করা, তাতে অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে কর্মীদের। সরকারি নির্দেশনার পরও যাত্রীর অভাবে বরিশাল নদী বন্দর থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত ছেড়ে যায়নি ঢাকামুখী কোনো লঞ্চ।
এর আগে পোশাক শ্রমিকদের ঢাকায় আসার সুযোগ দিতে শনিবার সন্ধ্যার পর বাস ও লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেয় সরকার। তবে বরিশাল বন্দর থেকে শনিবার রাতে কোনো লঞ্চ ছাড়েনি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) রোববার দুপুরে ঘোষণা দেয়, যাত্রীর চাপ থাকায় লঞ্চ চলাচলের সময় বাড়িয়ে সোমবার ভোর ৬টা পর্যন্ত করা হয়েছে। এর পরপরই বরিশালের লঞ্চ মালিক সমিতি জানায়, এই জেলা থেকে রোববার রাতে শুধু একটি লঞ্চ রাজধানীর উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।
সুরভী নেভিগেশন কোম্পানির পরিচালক রিয়াজুল কবির বলেন, ‘প্রশাসন থেকে আমাদের লঞ্চ ছাড়ার কথা বলা হয়েছে। তবে লঞ্চ ছাড়তে হলে আমাদের দুইজন প্রথম শ্রেণির সুকানি, দুইজন সারেং এবং দুইজন গ্রিজারসহ আরও কিছু লোক দরকার। এই মুহূর্তে এরা নেই। ‘তাছাড়া একটি লঞ্চ ঢাকা যেতে ৬০ থেকে ৭০ ব্যারেল তেল দরকার হয়। যাত্রী না হলে আমরা কীভাবে ছাড়ব লঞ্চ। লোকসান দিয়েতো আর লঞ্চ চালানো সম্ভব নয়।’
বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘কাঙ্খিত যাত্রী না থাকায় বরিশাল থেকে কোনো লঞ্চই ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি। তবে বরিশাল নদী বন্দর থেকে ভোলাসহ বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ রুটে পাঁচটি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে ঘাট ছেড়েছে।
তিনি জানান, ঢাকাগামী কিছু যাত্রীকে পৌঁছে দিতে ‘এডভেঞ্চার-৯’ লঞ্চটি রোববার রাতে বরিশাল থেকে ছেড়ে যাবে। তবে যাত্রী বাড়লে আরও লঞ্চ ছাড়বে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।