বুধহাটায় জলাবদ্ধতার কবলে গৃহছাড়া কয়েক হাজার মানুষ !

নিজস্ব প্রতিবেদক
সচ্চিদানন্দদেসদয়, আশাশুনি উপজেলা প্রতিনিধি, সাতক্ষিরা
প্রকাশিত: শনিবার ৭ই অক্টোবর ২০২৩ ০৬:৫২ অপরাহ্ন
বুধহাটায় জলাবদ্ধতার কবলে গৃহছাড়া কয়েক হাজার মানুষ !

আশাশুনির বুধহাটায় বর্ষার পানি জমে জলাবদ্ধতা প্রকট আকার ধারন করায় নাগরিকদের স্বাভাবিক চলাফেরা ব্যহতহচ্ছে। গত কয়েক দিনের অতিবর্ষনে জলাবদ্ধতায় নাকাল হচ্ছে বুধহাটাবাসী। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা সহ ছোট খাল ও জলাশয় গুলোতে বাঁধ দিয়ে মাছশিকারের ফলে জলাবদ্ধতা এখন দূর্ভোগের কারন হয়ে দাড়িয়েছে। 


জানা যায়, বুধহাটা ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৬টি ওয়ার্ডই বেড়িবাঁধেরমধ্যে। আর এসব ওয়ার্ডগুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েক দিনের টানাবর্ষনে জলাবদ্ধতার এ দূর্ভোগ সাধারন মানুষকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে।বুধহাটা গ্রামের কওমি মাদ্রাসা এলাকা থেকে স্লুইজগেট সংলগ্ন স্থান পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার পরিবারের বসবাস। একই সাথে বুধহাটা পশ্চিম পাড়ার নিচু এলাকায় আনুমানিক ৫ থেকে ৭০০ পরিবারের বসবাস। 


এছাড়া বুধহাটা ঋষিপাড়ায় প্রায় ৫০ টি পরিবারের বসবাস। বেতনা নদী খননকল্পে জোয়ার ভাটা বন্ধ থাকায় অতি বৃষ্টির পানি নদীতে নিষ্কাশন করা সম্ভব হচ্ছে না। অতি বৃষ্টিপাতের ফলে খাল-বিল প্লাবিত হয়ে লোকালয় প্লাবিত হচ্ছে। বৃষ্টির পানিতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার ফলে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে কাঁচা পাকা ঘরবাড়ি, বৃষ্টির পানিতে ডুবে আছে কাঁচা পাকা টয়লেট, সুপেয় পানি সরবরাহের টিউবওয়েল, গবাদি পশুর গোয়ালঘর ও গ্রাম অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা সড়ক। 


বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় গোবর ও টয়লেটের ময়লা বদ্ধ পানিতে মিশে দূষিত পানিতে পরিণত হয়েছে। ফলে পানি বাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দা বাসুদেব দাস বলেন সুপেয় পানির অভাবে ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকেই।অপরদিকে ডেঙ্গু আতঙ্কে ভুগছে। 


গৃহবধূ মনোয়ারা খাতুন বলেন জলমগ্ন হয়ে ধসে পড়েছে রান্নাঘর। বসত ঘরের ভিতরেও পানি। বাধ্য হয়ে অন্যত্রে গিয়ে রান্না করতে হচ্ছে। পোকামাকড়ের ভয়ে সন্তানদের নিয়ে অসহায়ত্বের জীবনযাপন করছি। স্থানীয় বাসিন্দা রজব আলী প্রতিবেদককে বলেন, বুধহাটা পূর্বপাড়ায় অধিকাংশ নি¤œবিত্ত মানুষের বসবাস। বৃষ্টির পানি অতি দ্রুত লোকালয় থেকে নিষ্কাশন ব্যবস্থা না করলে এই এলাকার কাঁচা আধা কাঁচা ঘরবাড়ি জলমগ্ন হয়ে ধসে পড়তে পারে। সরকারিভাবে চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা না করলে পানি বাহিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে এই প্লাবিত এলাকার অধিকাংশ মানুষ। 


অতি বর্ষণে প্লাবিত হওয়া এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান সহকারি অধ্যাপক মাহবুবুর হক ডাবলু।  উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান অসীম বরন চক্রবত্তী।তারা বলে াতি অল্প সময়ের মধ্যে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।