ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে শ্রমিকের ঢল

নিজস্ব প্রতিবেদক
খোরশেদ আলম, কালিয়াকৈর (গাজীপুর)প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার ৩১শে জুলাই ২০২১ ০৬:১৫ অপরাহ্ন
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে শ্রমিকের ঢল

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায় শনিবার সকাল থেকেই শ্রমিকের ঢল নেমেছে। রপ্তানীমুখী শিল্পকারখানা খোলার সিদ্ধান্তের সংবাদ শুনে জীবনের ঝুঁকি ও সংক্রমণের আশঙ্কা নিয়ে কর্মস্থল ঢাকা ও আশপাশের শিল্প অঞ্চলে ফিরতে শুরু করেছে শ্রমিকরা।  



গণপরিবহন চলাচল না করায় পোশাক শ্রমিকরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের মধ্যেই অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেলযোগে যে যেভাবে পারছেন ফিরছেন কর্মস্থলে । 



এদিকে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের মধ্যে শিল্পকারখানা খোলার বিষয়ে বিভিন্ন কারখানার কর্তৃপক্ষ জানান, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায়  কারখানার ক্ষতি হচ্ছে। রোববার কারখানা খোলা না হলে বিদেশিরা তাদের অর্ডার বাতিল করবে। এতে কারখানার ব্যাপক ক্ষতি হবে। 




এলাকাবাসী, পোশাক শ্রমিক ও পুলিশ থেকে জানা গেছে, উত্তরবঙ্গের প্রায় শতাধিক সড়কের যানবাহন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় হয়ে চলাচল করে। যার কারণে এটিকে উত্তরবঙ্গে প্রবেশদ্বার হিসাবে বিবেচনা করা হয়। 




ঈদের ছুটিতে শিল্পকারখানার শ্রমিকসহ হাজার হাজার মানুষ নাড়ির টানে  বাড়িতে গিয়েছেন। এরই মধ্যে সরকার কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে। ঈদের আমেজ শেষ হলেও শেষ হয়নি কঠোর লকডাউন। সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের মধ্যেই রোববার থেকে খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পোশাক কারখানা। 




এমন সংবাদে গ্রাম থেকে পোশাক শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি ও করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা নিয়ে নানা উপায়ে ঢাকা, গাজীপুর, সাভার ও আশপাশের শিল্প অঞ্চলে ফেরার চেষ্টা করছেন তারা। 





তবে শনিবার সকাল থেকেই মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় শ্রমিকের ঢল দেখা গেছে। কঠোর লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় তারা ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, অটোরিকশা ও পায়ে হেঁটেই রওনা দিয়েছেন। এ সুযোগ অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে শ্রমিকদের ।  




এছাড়া মহাসড়কে চেকপোস্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে।সালনা (কোনাবাড়ি) হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর গোলাম ফারুক জানান, শিল্প-কারখানা ঘোষণার সংবাদে শ্রমিকরা বিভিন্ন উপায়ে আসছে। 




গণপরিবহন না থাকায় উত্তরবঙ্গের প্রবেশ মুখে চন্দ্রায়  অনেক মানুষ জমায়েত হয়েছে। কিন্তু  তারা পুলিশের চেকপোস্টের ওপাশে নেমে  পায়ে হেঁটে অপর পাশে গিয়ে একইভাবে চলে যাচ্ছে। তবে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার বিষয়টি জানতে পারলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।