হাদি হত্যার অভিযুক্ত আসামী ভারতে পালিয়েছে, প্রত্যাখ্যান মেঘালয় পুলিশের

হিন্দুস্তান টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, এই ধরনের প্রতিবেদন বিভ্রান্তিকর। মেঘালয় পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ঢাকার পুলিশ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক তথ্য পাওয়া যায়নি এবং উল্লেখিত অভিযুক্তকে তারা খুঁজে পায়নি। বিএসএফও জানিয়েছে, হালুয়াঘাট সেক্টর দিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করার কোনো প্রমাণ নেই।

ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নজরুল ইসলাম বলেন, হত্যাকাণ্ডটি পূর্বপরিকল্পিত। ফয়সাল করিমসহ একজন ময়মনসিংহের সীমান্ত পার হয়ে ভারতে পালিয়েছে। এই ঘটনায় ডিএমপি মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে, যাদের মধ্যে ছয় জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার চার্জশিট আগামী ৭–৮ দিনের মধ্যে দেওয়া হবে।

হত্যাকাণ্ড ঘটেছে গত ১২ ডিসেম্বর। দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটে পল্টন থানার বক্স কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেলে আসা ফয়সাল করিম ও তার অজ্ঞাত পরিচয় সহযোগী চলন্ত অবস্থায় শরিফকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুরুতর আহত শরিফকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়, যেখানে ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে মৃত্যু হয়।