প্রকাশ: ৭ জুলাই ২০২৫, ১৮:৪৯
মিয়ানমারে সামরিক জান্তা বিরোধী দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের জেরে দেশটির হাজারো নাগরিক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের মিজোরাম রাজ্যে আশ্রয় নিচ্ছেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। সংঘর্ষ শুরু হয়েছে গত ২ জুলাই মিয়ানমারের চিন রাজ্যে, যেখানে চিন ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স (সিএনডিএফ) ও চিনল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স-হুয়ালংরাম (সিডিএফ-এইচ) একে অপরের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরে অবস্থান নিয়েছে।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মিজোরামের প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে শরণার্থীদের আগমন প্রতিদিনই বাড়ছে এবং ইতিমধ্যে প্রায় চার হাজার মানুষকে নথিভুক্ত করা হয়েছে। মিজোরামের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে সাপদাঙ্গা জানিয়েছেন, সংঘর্ষের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় তারা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে শরণার্থীদের জন্য খাদ্য, পানি ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে বাধ্য হয়েছেন।
স্থানীয় প্রশাসন বলছে, রাজ্যের চাম্পাই জেলার জোখাওথার ও সাইখুমফাই গ্রামের ক্যাম্পগুলোতে সবচেয়ে বেশি শরণার্থী অবস্থান নিয়েছে। পরিস্থিতি ক্রমাগত পরিবর্তন হচ্ছে এবং শরণার্থীদের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, শরণার্থীদের অধিকাংশই শিশু ও নারী, যারা প্রাণ বাঁচাতে দিনের পর দিন হাঁটতে হাঁটতে সীমান্তে পৌঁছেছেন।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই দেশটিতে অস্থিতিশীলতা চলমান। তখন থেকেই হাজার হাজার মিয়ানমার নাগরিক ভারতের মিজোরামে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করছেন। মিজোরামের বাসিন্দাদের সঙ্গে চিন জনগোষ্ঠীর জাতিগত সম্পর্ক থাকায় স্থানীয়রা কিছুটা সহানুভূতির চোখে তাদের দেখে।
ভারত সরকার এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি, তবে সীমান্তে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে এবং শরণার্থী সমস্যা নতুন করে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মিয়ানমারের জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে এই সংঘর্ষ বা শরণার্থী ইস্যুতে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই সংঘর্ষ কেবল চিন রাজ্যেই নয়, মিয়ানমারের অন্যান্য অঞ্চলেও নতুন করে অস্থিরতা তৈরি করতে পারে।
মানবিক সংকট মোকাবিলায় মিজোরাম রাজ্য সরকার সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিচ্ছে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এই পরিস্থিতি ভারত-মিয়ানমার সীমান্তের স্থিতিশীলতায় বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
মিয়ানমারে সামরিক জান্তা বিরোধী দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের জেরে দেশটির হাজারো নাগরিক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের মিজোরাম রাজ্যে আশ্রয় নিচ্ছেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। সংঘর্ষ শুরু হয়েছে গত ২ জুলাই মিয়ানমারের চিন রাজ্যে, যেখানে চিন ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স (সিএনডিএফ) ও চিনল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স-হুয়ালংরাম (সিডিএফ-এইচ) একে অপরের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরে অবস্থান নিয়েছে।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মিজোরামের প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে শরণার্থীদের আগমন প্রতিদিনই বাড়ছে এবং ইতিমধ্যে প্রায় চার হাজার মানুষকে নথিভুক্ত করা হয়েছে। মিজোরামের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে সাপদাঙ্গা জানিয়েছেন, সংঘর্ষের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় তারা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে শরণার্থীদের জন্য খাদ্য, পানি ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে বাধ্য হয়েছেন।
স্থানীয় প্রশাসন বলছে, রাজ্যের চাম্পাই জেলার জোখাওথার ও সাইখুমফাই গ্রামের ক্যাম্পগুলোতে সবচেয়ে বেশি শরণার্থী অবস্থান নিয়েছে। পরিস্থিতি ক্রমাগত পরিবর্তন হচ্ছে এবং শরণার্থীদের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, শরণার্থীদের অধিকাংশই শিশু ও নারী, যারা প্রাণ বাঁচাতে দিনের পর দিন হাঁটতে হাঁটতে সীমান্তে পৌঁছেছেন।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই দেশটিতে অস্থিতিশীলতা চলমান। তখন থেকেই হাজার হাজার মিয়ানমার নাগরিক ভারতের মিজোরামে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করছেন। মিজোরামের বাসিন্দাদের সঙ্গে চিন জনগোষ্ঠীর জাতিগত সম্পর্ক থাকায় স্থানীয়রা কিছুটা সহানুভূতির চোখে তাদের দেখে।
ভারত সরকার এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি, তবে সীমান্তে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে এবং শরণার্থী সমস্যা নতুন করে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মিয়ানমারের জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে এই সংঘর্ষ বা শরণার্থী ইস্যুতে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই সংঘর্ষ কেবল চিন রাজ্যেই নয়, মিয়ানমারের অন্যান্য অঞ্চলেও নতুন করে অস্থিরতা তৈরি করতে পারে।
মানবিক সংকট মোকাবিলায় মিজোরাম রাজ্য সরকার সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিচ্ছে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এই পরিস্থিতি ভারত-মিয়ানমার সীমান্তের স্থিতিশীলতায় বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।