প্রকাশ: ৭ জুলাই ২০২৫, ২০:১৩
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
সিরাজগঞ্জে আয়োজিত এক পথসভা ও পদযাত্রায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সহঅবস্থান নিশ্চিত করার দাবি জানান। সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় শহরের বাজার স্টেশন এলাকায় এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
পথসভায় এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, যারা এনসিপিতে যোগদান করেন বা প্রোগ্রামে আসেন, তাদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এনসিপি নেতাকর্মীদের হুমকি দেওয়া হলে তার কঠোর জবাব দেওয়া হবে। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা নির্ভয়ে সংগঠনের কাজ করুন। যদি কেউ ভয় দেখায়, আমাদের জানান। আমরা জীবন দিতে প্রস্তুত।”
তিনি বলেন, এনসিপি প্রান্তিক থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত প্রতিটি নেতাকর্মীর সম্মান ও নিরাপত্তা রক্ষা করাই তাদের অঙ্গীকার। “আজ আমরা নেতা হতে পেরেছি, কারণ আমাদের পেছনে আপনারা আছেন,”—বলেই তিনি নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থেকে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনীতির পক্ষে সহঅবস্থানের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তিনি অভিযোগ করেন, দেশের বিভিন্ন জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারের দপ্তর এখন বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের কার্য্যালয়ে রূপ নিচ্ছে, যা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি।
প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “আপনারা বেনজীর আহমেদ বা হারুন ডিবি হবেন না। জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কোনো দিন টিকে থাকা যায় না।” তিনি দাবি করেন, “ক্ষমতার উৎস হচ্ছে জনগণ, তাই জনগণপন্থী হয়ে উঠুন।”
তিনি আরও বলেন, যখন কোনো রাজনৈতিক দলের পতন শুরু হয়, তখন প্রশাসনের কেউই তাদের রক্ষা করতে পারে না। সেই সময় জনগণের মধ্যে থেকে কেউ না কেউ আবার রাস্তায় নেমে আসে, যেমন এনসিপির নেতারা করছেন।
পথসভায় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দিন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম-সদস্য সচিব তাসনিম জারা, যুগ্ম-সদস্য সচিব মাহিন সরকার এবং মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমসহ আরও অনেকে। তারা সকলেই সংগঠনের শক্তি ও সম্প্রসারণে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।