প্রকাশ: ৬ জুলাই ২০২৫, ১৬:৫২
কাশ্মীরের পেহেলগাম সীমান্তে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চালানো সামরিক অভিযানে ভারতীয় বাহিনী ব্যাপক ক্ষতির মুখোমুখি হলেও সরকারিভাবে সেই তথ্য গোপন রাখা হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সামা টিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সীমান্তবর্তী লাইন অব কন্ট্রোলে (এলওসি) সংঘর্ষে ২৫০ জনের বেশি ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। এই তথ্য বিভিন্ন সামরিক ও কূটনৈতিক সূত্র থেকে নিশ্চিত করা হলেও ভারত সরকার তা প্রকাশে অনিচ্ছুক।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন অন্তত ১০০ জন সেনা, যাদের গোপনে মরণোত্তর সম্মাননা দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হলেও, তা জনসমক্ষে আনার পরিবর্তে ভেতরে ভেতরে স্মরণ কর্মসূচি পরিচালনার চেষ্টা চলছে।
সম্মানপ্রাপ্ত সেনাদের তালিকায় রয়েছেন তিনজন রাফাল পাইলটসহ মোট চারজন পাইলট, ভারতীয় বিমানবাহিনীর সাতজন সদস্য, ১০ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডের ‘জি-টপ’ পোস্টের পাঁচজন সেনা এবং ৯৩ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেড হেডকোয়ার্টারের নয়জন সদস্য। এছাড়াও আদমপুর ঘাঁটির এস-৪০০ ইউনিটের পাঁচজন অপারেটর নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শুরুতে রাফাল জেট ক্ষতি এবং বিভিন্ন কৌশলগত ঘাঁটির ধ্বংসের খবর ভারত সরকার অস্বীকার করলেও, একাধিক উচ্চপদস্থ জেনারেল ও কূটনৈতিক কর্মকর্তার স্বীকারোক্তিতে এসব তথ্য সামনে আসে।
নিহত সেনাদের পরিবারকেও সরকারের পক্ষ থেকে সতর্ক করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি বা তথ্য প্রকাশ না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত সরকার প্রচারণা কৌশল ও তথ্যনিয়ন্ত্রণ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সামা টিভির প্রতিবেদন অনুসারে, পাঠানকোট ও উদমপুর বিমানঘাঁটির ক্ষয়ক্ষতির তথ্য আন্তর্জাতিক ও ভারতীয় কিছু স্বাধীন সংবাদমাধ্যম নিশ্চিত করলেও সরকার তা অস্বীকার করে আসছে।
এই অবস্থায় ভারত সরকার যুদ্ধক্ষেত্রে সামরিক বিপর্যয় ও তথ্য সংকট একসঙ্গে মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিভিন্ন পর্যবেক্ষক। পুরো ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়াও নজর দিচ্ছে, বিশেষ করে ভারত সরকারের তথ্য নিয়ন্ত্রণের ভূমিকায়।
এদিকে পাকিস্তানি বাহিনীর ‘অপারেশন বুনিয়ানুম-মারসুস’ নামে চালানো অভিযানের সাফল্য দাবি, ভারতীয় যুদ্ধবিমান ধ্বংসের তথ্য ও সেনা ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ – সব মিলিয়ে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধাবস্থা আরও জটিল আকার নিচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।