নতুন মোড় নিয়েছে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত। নয় দিন ধরে চলা উত্তেজনা, হুমকি-ধমকির পরে অবশেষে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়ালো এ সংঘাতে। ইসরায়েলের ‘বিশ্বস্ত মিত্র’ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে।
‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ নামে পরিচালিত এই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র ব্যবহার করেছে বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমান ও ক্লাস্টার বোমা। লক্ষ্য ছিল ইরানের ফর্দো, নাতানজ এবং ইস্পাহানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো।
যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, এই অভিযান ছিল "অসাধারণ সামরিক সাফল্য"। হামলার পর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “হয় শান্তি আসবে, নয়তো ইরানের জন্য আরও ভয়ঙ্কর দিন অপেক্ষা করছে। এখনও বহু টার্গেট বাকি রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “আজকের রাত ছিল তাদের (ইরান) জন্য সবচেয়ে ভয়ানক এবং মারাত্মক রাতগুলোর একটি।”
এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। মস্কো জানায়, এই ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ পদক্ষেপ পুরো বিশ্বকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে। রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান ও পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র কেবল যুদ্ধ শুরুই করেনি, বরং আন্তর্জাতিক আইন ও শান্তির বিরুদ্ধে প্রকাশ্য আঘাত হেনেছে।”
তিনি ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে বলেন, “নিজেকে যিনি ‘শান্তির প্রতীক’ দাবি করেন, তিনিই নতুন যুদ্ধের শুরু করলেন। এই ‘সাফল্যের’ জন্য শান্তি পুরস্কারের আশা বাদ দিতে পারেন।” এ হামলায় পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়নি বলেও দাবি করেন মেদভেদেভ।