
প্যালেস্টাইন-২’ ও ‘জুলফিকার’ ক্ষেপণাস্ত্রে কাঁপল ইসরাইল
আন্তর্জাতিক, ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১৮:২১
শেয়ার করুনঃ

ইসরাইল
ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর নতুন একটি অভিযান দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে শক্ত বার্তা হয়ে উঠেছে। এই অভিযানে ব্যবহৃত হয়েছে ড্রোন, হাইপারসনিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, যা সরাসরি ইসরাইলি সামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর আঘাত হেনেছে। ইয়েমেনি বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটি ছিল একটি বিশেষ প্রতিরোধমূলক অভিযান, যেখানে উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্রের সফল প্রয়োগ ঘটেছে।
ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি এক বিবৃতিতে জানান, ইসরাইলের দখলকৃত এলাকায় ইয়েমেনি বাহিনী ব্যালিস্টিক ও হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। তিনি জানান, শত্রুপক্ষের সামরিক ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্য করেই এই হামলা চালানো হয় এবং তা যথেষ্ট সাফল্য বয়ে এনেছে।
এই অভিযানে দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রথমটি ছিল ‘প্যালেস্টাইন-২’ নামের একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র, যা ইসরাইলের আশদোদের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানে। এটি অত্যন্ত উচ্চগতির হওয়ায় ইসরাইলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।
দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটি ছিল ‘জুলফিকার’, একটি শক্তিশালী ব্যালিস্টিক অস্ত্র। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ইয়াফা অঞ্চলে অবস্থিত বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয়, যা ইসরাইলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো হিসেবে পরিচিত।

এর পাশাপাশি আশকেলন শহরের একটি কৌশলগত স্থাপনাতেও ড্রোন হামলা চালানো হয়। ইয়াহিয়া সারির দাবি অনুযায়ী, ড্রোনটি লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হেনে স্থাপনাটি সম্পূর্ণ ধ্বংস করেছে, যা ইয়েমেনি প্রযুক্তির সক্ষমতা ও সুনির্দিষ্টতা প্রমাণ করে।
মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনী উন্নত প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করে শত্রুর সামরিক ঘাঁটিতে যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছে। এই অভিযান প্রতিরোধ সংগ্রামের অংশ এবং আমরা ইসরাইলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান ধরে রাখব।’
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমগুলো এই হামলার খবর ও সাইরেন বাজানোর তথ্য দিলেও দেশটির সরকারি কর্তৃপক্ষ এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। হতাহতের বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্যও এখনো প্রকাশ পায়নি।
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার এই নতুন মাত্রা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইসরাইলের সামরিক অঞ্চলগুলোতে এই ধরনের আঘাত ভবিষ্যতের সংঘাতকে আরও বিস্তৃত করে তুলতে পারে। সূত্র: মেহের নিউজ


