করোনা ও মাঙ্কিপক্সের পর এবার আতঙ্ক ছড়াচ্ছে মারবার্গ ভাইরাস। আফ্রিকার দেশ ইকুয়াটোরিয়াল গিনিতে ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাসটি। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। উপসর্গসহ আরও ১৬ জনকে শনাক্ত করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। ভাইরাসটি ইবোলার মতো মারাত্মক সংক্রামক ও প্রাণঘাতী বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
করোনাভাইরাস এখনও পিছু ছাড়েনি। তারই মাঝে দেখা দিয়েছিল মাঙ্কিপক্স। এবার নতুন আতঙ্ক হয়ে দেখা দিচ্ছে মারবার্গ ভাইরাস। বলা হচ্ছে, করোনা ও মাঙ্কিপক্সের মতোই ভয়ংকর সংক্রামক এই ভাইরাস।
দক্ষিণ ও পূর্ব আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ১৯৬৭ সালের পর থেকে মারবার্গ ভাইরাস পাওয়া যায়। এরপর গত বছরের জুলাই মাসে আফ্রিকার ঘানায় প্রথম ভাইরাসটির সন্ধান পাওয়া যায়।
ভাইরাসটি এখন গিনিতেও ছড়িয়ে পড়েছে। গত সপ্তাহেই ইকুয়াটোরিয়াল গিনি কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা একটা অপরিচিত হেমোরেজিক জ্বর শনাক্ত করেছে। সেই সঙ্গে দেশটির কি-এনটেম প্রদেশে সংক্রমণের আশঙ্কায় দুই শতাধিক মানুষকে আইসোলেশনে রাখা হয়।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গিনিতে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরও অন্তত ১৬ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে।
ইবোলা ভাইরাসের মতোই এই ভাইরাস বাদুর থেকে এসেছে। যার কোনো ভ্যাকসিন বা টিকা এখনও তৈরি হয়নি। এতে মৃত্যুর হার ৮৮ শতাংশ। মারবার্গ ভাইরাস নিয়ে সতর্ক থাকতে বলছেন চিকিৎসকরা।
মারবার্গ সংক্রমণের উপসর্গ বা লক্ষণগুলো কী কী:
সংক্রমণের ২ থেকে ২১ দিনের মধ্যে যে কোনো সময়ে উপসর্গগুলি দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে: মাথাব্যথা, পেটব্যথা, পেটের মারাত্মক গণ্ডগোল, বমি, প্রচণ্ড ক্লান্তি, চোখ বসে যাওয়া ও বমির সঙ্গে রক্তপাত হতে পারে। এই রক্তপাতেই অনেকের মৃত্যু হয়।
কীভাবে ধরা পড়ে এই ভাইরাস সংক্রমণ
মূলত রক্তপরীক্ষা করেই এই ভাইরাসের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। এটি মারাত্মক হারে ছড়িয়ে পড়ে। তাই এটি থেকে বাঁচার জন্য খুব সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। যারা চিকিৎসা করেন বা নমুনা সংগ্রহ করেন, তাদের বেশ ঝুঁকি থাকে।
কীভাবে সংক্রমিত হয়:
অন্য ভাইরাসের মতোই এটিও সংক্রমিতের লালারস, থুতু, রক্ত থেকে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এমনকি বাদুড়ের মতো প্রাণী থেকেও এই ভাইরাস ছড়াতে পারে বলে মনে করা হয়।
বাঁচার উপায় কী:
করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য যে ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানতে বলা হয়, এক্ষেত্রেও তাই। শুধু তাই নয়, এক্ষেত্রে আরও বেশি পরিমাণে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
কেন মারবার্গ ভাইরাস নিয়ে এত ভয়:
এই ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে মৃত্যুর হার মারাত্মক। আর সেই কারণেই এটি নিয়ে আতঙ্ক বেশি। এমনটাই বলছেন বিজ্ঞানীরা। সেই কারণেই এটির তুলনা করা হচ্ছে ইবোলার সঙ্গে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।