ফের উত্তাল শ্রীলঙ্কা, কলম্বোয় কারফিউ জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার ৯ই জুলাই ২০২২ ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন
ফের উত্তাল শ্রীলঙ্কা, কলম্বোয় কারফিউ জারি

বিক্ষোভে উত্তাল শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় জারি করা হয়েছে কারফিউ। অর্থনৈতিক সংকট নিরসনে ব্যর্থতার অভিযোগে দেশটিতে সরকারের বিরুদ্ধে চলছে বিক্ষোভ চলছে। খবর এনডিটিভির।



স্থানীয় সময় শুক্রবার (৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে কলম্বো ও এর আশপাশের এলাকায় কারফিউ জারি করে সরকার। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত কারফিউ চলবে। আর কারফিউ চলাকালে সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।


শ্রীলঙ্কার পুলিশ প্রধান চন্দনা বিক্রমারত্নে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


শ্রীলঙ্কায় খাদ্য ও জ্বালানিসংকটের পাশাপাশি দীর্ঘ বিদ্যুৎ ঘাটতি চলছে। এ অবস্থায় অব্যাহত রয়েছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। তারা প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ে রাজাপাকসের পদত্যাগ দাবি করছেন।


এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক চলতি বছর অর্থনীতি মন্দায় রূপ নিতে পারে বলে সতর্ক করেছে।


প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে পার্লামেন্টে বলেছেন, অর্থনীতি সর্বোচ্চ ৭ দশমিক শূন্য শতাংশ সংকুচিত হতে পারে।


এদিকে শ্রীলঙ্কার ‘দ্য সেন্ট্রাল ব্যাংক’ আমানতের পরিমাণ এবং সুদের হার ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়িয়েছে।


দেশটিতে গত মাসে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ছিল ৫৪ দশমিক ৬ শতাংশ।


দুই কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে গ্যাসও ফুরিয়ে এসেছে। আবার পাওয়া গেলেও তার দাম এতই বেশি যে মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। কেউ কেউ কেরোসিনের চুলায় রান্নার চেষ্টা করছেন। কিন্তু পেট্রল ও ডিজেল আমদানির মতো পর্যাপ্ত ডলার নেই সরকারের কাছে।


 শ্রীলঙ্কা একটি মধ্য আয়ের দেশ ছিল। জনগণের মাথাপিছু জিডিপি ফিলিপিন্সের সঙ্গে তুলনীয় ছিল তখন। লঙ্কানদের জীবনযাপনের মান প্রতিবেশী ভারতের জন্য ঈর্ষণীয় বলে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা ও করোনা মহামারিতে পর্যটনশিল্পে ধস নামায় দেশটির ডলার ফুরিয়ে গেছে। যে কারণে তারা আমদানির প্রয়োজন মেটাতে পারছে না।


২০২৩ সালেও এই সংকট থাকবে বলে মঙ্গলবার পার্লামেন্টে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। তিনি বলেন, এটিই সত্য, এটিই বাস্তবতা।