প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২২, ৩:৩৭
রাশিয়াকে ন্যাটো ভয় পায় বলেই যুদ্ধে জড়াচ্ছে না- এমন মন্তব্য করে যুদ্ধ বন্ধে পুতিনের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকের বিষয়ে জোর দিলেন জেলেনস্কি। এদিকে ইউক্রেনীয় বাহিনী রাজধানী কিয়েভ থেকে ৩০ মাইল দূরের শহর মাকারিভের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে দাবি করেছে। অন্যদিকে কিয়েভের নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া রুশ বাহিনী।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, সোমবার (২১ মার্চ) কিয়েভের বিভিন্ন আবাসিক ভবন ও শপিংমল লক্ষ্য করে দফায় দফায় হামলা চালায় পুতিন বাহিনী। আরও গোলা হামলার আশংকায় কিয়েভে বুধবার পর্যন্ত নতুন করে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
একইদিন কিয়েভের শপিংমলে হামলার ভিডিও প্রকাশ করে এর ব্যাখ্যা দেয় রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। রাশিয়ার দাবি, ওই শপিংমলটি সামরিক কাজে ব্যবহার করে আসছিল ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। রকেট ছোড়ার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে এ হামলা বলে দাবি ক্রেমলিনের।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেঙ্কভ বলেন, কিয়েভ উপকণ্ঠের বিভিন্ন আবাসিক এলাকা থেকে গত কয়েকদিন ধরে আমাদের সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালিয়ে আসছিল ইউক্রেনের সেনারা। একই সঙ্গে শপিংমলের আশপাশের এলাকাও সামরিক কাজে ব্যবহার করছিল তারা। আমরা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি।
চলমান এ পরিস্থিতিতে আবারও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে জোর দিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, বৈঠক ছাড়া যুদ্ধ বন্ধ করা সম্ভব নয়।
জেলেনস্কি বলেন, সবার প্রথমে অস্ত্রবিরতি ঘোষণা প্রয়োজন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে বৈঠকের বিষয়ে রাজি হওয়া উচিত এবং সেনাদের সরিয়ে নিতে ও ইউক্রনীয়দের নিরাপত্তার বিষয়ে নিশ্চয়তা দেয়া উচিত। বৈঠকে বসলে সমঝোতার পথ খুঁজে পাওয়া যাবে। এ যুদ্ধের ইতি টানা দরকার। আর ন্যাটোতো রাশিয়াকে ভয় পাচ্ছে। যে কারণে দেশটির বিরুদ্ধে লড়তে ইউক্রেনকে পাশে দাঁড়াচ্ছে না। ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যুক্ত করা হবে না বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গেছে।
তবে রুশ বাহিনীর গতি কমিয়ে দিতে পেরেছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। যদিও ইউক্রেনীয় সেনাদের দাবি গত ২৪ ঘণ্টায় আকাশসীমায় নিজেদের উপস্থিতি জোরদার করেছে রুশ বাহিনী।
এ অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, পুতিনের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এখন তিনি রাসায়নিক অথবা জৈব অস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। মার্কিন সরকার জানিয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধের তথ্য- প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে।