প্রকাশ: ৯ জুলাই ২০২৫, ২১:৪২
নির্বাচনি প্রতীক হিসেবে শাপলা ফুল ব্যবহারের বিষয়ে দুটি রাজনৈতিক দলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, জাতীয় প্রতীকের মর্যাদা রক্ষায় শাপলাকে আর কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হবে না। বুধবার রাতে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তিনি বলেন, শাপলা আমাদের জাতীয় প্রতীক। একে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। এই সিদ্ধান্ত কমিশনের সাম্প্রতিক বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। ফলে নতুন কোনো রাজনৈতিক দল এই প্রতীক চাইলেও তা পাওয়ার সুযোগ নেই।
নাগরিক ঐক্য সম্প্রতি কেটলির পরিবর্তে দলীয় প্রতীক হিসেবে শাপলা চেয়েছিল। একইভাবে নিবন্ধনের জন্য আবেদনকারী নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) তাদের প্রতীক হিসেবে শাপলার আবেদন করেছিল। তবে এই দুটি আবেদন ইসি নাকচ করেছে।
কমিশনের এই সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও নির্বাচন কমিশন বলছে, জাতীয় প্রতীক নিয়ে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা বা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হোক, তা তারা চায় না। এই বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার গণমাধ্যমে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় কমিশন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে।
ইসি মনে করে, প্রতীক বাছাইয়ে দলগুলোর নতুনত্ব থাকা উচিত এবং জাতীয় অনুভূতির প্রতীকগুলোকে দলীয় রাজনীতির বাইরে রাখা দরকার। এর ফলে ভবিষ্যতে প্রতীক নিয়ে কোনো বিতর্ক তৈরি হবে না বলেই তাদের প্রত্যাশা।
নির্বাচনের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ এবং নিরপেক্ষ রাখতে কমিশনের প্রতীক নির্ধারণ ও নিবন্ধন কার্যক্রমকে আরও স্বচ্ছ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শাপলা নিয়ে গৃহীত সিদ্ধান্তও এই নীতিরই অংশ বলে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন কমিশন এরই মধ্যে নতুন প্রতীক তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে। সেখানে পুরাতন এবং নতুন উভয় ধরনের প্রতীক থাকবে, তবে শাপলা ফুল থাকবে না।
এই সিদ্ধান্তকে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে সাংবিধানিক রীতিনীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ রাখার একটি দৃষ্টান্ত বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।