প্রকাশ: ৮ জুলাই ২০২৫, ১০:৫৬
বাংলাদেশি পণ্যে নতুন শুল্ক, ট্রাম্পের চিঠিতে চাপের বার্তা
সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্প তিন মাসের সময়সীমা নির্ধারণ করেছিলেন, যাতে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে পৌঁছানো যায়। কিন্তু সেই সময়সীমা শেষে নতুন করে আরও সময় না দিয়ে এবার কার্যকর শুল্ক আরোপের দিনক্ষণ ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে তৈরি সব ধরনের পণ্য এই শুল্কের আওতায় পড়বে এবং অন্য দেশ দিয়ে পণ্য পাঠিয়ে এই শুল্ক এড়ানোর চেষ্টা করলেও তা কার্যকর হবে না।
এছাড়া চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য উৎপাদনে আগ্রহী বাংলাদেশি কোম্পানিদের জন্য শুল্ক মওকুফের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিলে দ্রুত অনুমোদন দেওয়া হবে এবং সেই পণ্যে কোনো অতিরিক্ত শুল্ক প্রযোজ্য হবে না।
ট্রাম্পের মতে, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সমান নয় এবং তা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। তিনি বলেন, দীর্ঘদিনের বাণিজ্য ঘাটতির কারণে এই কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং এই হার আরও বাড়তেও পারে যদি বাংলাদেশ পাল্টা শুল্ক আরোপের পথে হাঁটে।
চিঠির শেষাংশে ট্রাম্প উল্লেখ করেন, যদি বাংলাদেশ বাজার উন্মুক্ত করে এবং শুল্ক প্রতিবন্ধকতা কমায়, তাহলে এই শুল্ক পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে। তবে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে তার কঠোর অবস্থান ধরে রাখবে।
এই নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণায় বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতিতে দ্রুত কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক পদক্ষেপ না নিলে বিপদ আরও বাড়বে।
বাংলাদেশের গার্মেন্টস, চামড়াজাত পণ্য ও কৃষিপণ্য সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয় যুক্তরাষ্ট্রে। এই নতুন শুল্ক এসব খাতের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।