প্রকাশ: ৮ জুলাই ২০২৫, ১১:৩
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সোমবার ওয়াশিংটন ডিসির হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকে নেতানিয়াহু আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাম্পের হাতে মনোনয়নপত্র তুলে দেন। বৈঠকের শুরুতেই সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নেতানিয়াহু জানান, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র এমন সম্ভাব্য দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করছে যারা ফিলিস্তিনিদের উন্নত ভবিষ্যৎ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি মনে করেন, ট্রাম্পের নেতৃত্ব এই প্রক্রিয়ায় নির্ধারক প্রভাব ফেলেছে এবং আন্তর্জাতিক শান্তি প্রক্রিয়ায় এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
ট্রাম্প মনোনয়নপত্র হাতে পেয়ে বিস্মিত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে নেতানিয়াহুকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, “আমি জানতাম না, সত্যিই খুব অর্থবহ একটি বিষয়। এটি আপনার কাছ থেকে আসছে, তাই আরও গৌরবের।” এর আগেও ট্রাম্প বিভিন্ন সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের নানা শান্তি আলোচনায় যুক্ত ছিলেন, বিশেষ করে ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা প্রশমনে তাঁর ভূমিকা আলোচিত হয়েছে।
সাংবাদিকদের সামনে নেতানিয়াহু আরও বলেন, “ট্রাম্পের নেতৃত্ব শুধু ইসরায়েলিদের কাছেই নয়, বরং বিশ্বজুড়ে শান্তিকামী মানুষদের কাছেও প্রশংসিত হয়েছে।” হোয়াইট হাউসে নেতানিয়াহু ও তার স্ত্রী সারাকে স্বাগত জানান ট্রাম্প। দীর্ঘদিনের বন্ধু হিসেবে বর্ণনা করে তিনি নেতানিয়াহু দম্পতির অতিথিপরায়ণতায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং একসঙ্গে তাদের অর্জিত সাফল্যের প্রশংসা করেন।
এর আগে জুন মাসে মার্কিন কংগ্রেস সদস্য বাডি কার্টারও নোবেল কমিটিকে চিঠি লিখে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনীত করেন। সেই প্রেক্ষাপটেই এবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি সমর্থন ট্রাম্পের মনোনয়নকে আরও আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই মনোনয়ন শুধু প্রতীকী নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ক এবং ফিলিস্তিন ইস্যুতে ভবিষ্যৎ আন্তর্জাতিক ভূমিকার দিকনির্দেশনাও বহন করে। তবে এই মনোনয়নকে ঘিরে সমালোচনাও কম হচ্ছে না, বিশেষ করে ট্রাম্পের প্রশাসনিক নানা বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে।
শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বাস্তব ভূমিকা থাকলেও, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এমন মনোনয়ন কতটা গ্রহণযোগ্য—তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে শুরু হয়েছে আলোচনা। এখন দেখার বিষয়, নোবেল কমিটি কীভাবে এই মনোনয়নের মূল্যায়ন করে।