যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক মহলের চাপ বাড়লেও ফিলিস্তিনের গাজায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। বৃহস্পতিবার (২০ মে) দখলদার বাহিনীর হামলায় এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বহু ফিলিস্তিনি। খবর আল-জাজিরার।
এর আগে বুধবার রাতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও তিন বছর বয়সী শিশুকন্যাসহ প্রতিবন্ধী এক যুবক নিহত হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে গাজায় প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩০ জনে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, নিহতদের মধ্যে ৬৫ শিশু ও ৩৯ নারী রয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন এক হাজার ৭১০ জন।
অন্যদিকে, ২ শিশুসহ ১২ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। গত ১০ মে শুরু হওয়া সহিংসতায় গাজায় ৩২২ মিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গাজার সরকারি অফিস এ তথ্য দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার (১৯ মে) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করে সহিংসতা কমানোর কথা বলেন। এর কিছুক্ষণ পরেই এক ভিডিও বার্তায় গাজায় হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন নেতানিয়াহু।
মধ্যপ্রাচ্যের ফিলিস্তিন নামের যে এলাকা, সেটি ছিল অটোমান সাম্রাজ্যের অধীন। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অটোমানদের পরাজয়ের পর ব্রিটেন ফিলিস্তিনের নিয়ন্ত্রণ নেয়। তখন ফিলিস্তিনে যারা থাকতো তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল আরব, সেই সঙ্গে কিছু ইহুদি, যারা ছিল সংখ্যালঘু।
ইহুদিরা এই অঞ্চলকে তাদের পূর্বপুরুষদের দেশ বলে দাবি করে। কিন্তু আরবরাও দাবি করে এই ভূমি তাদের এবং ইহুদিদের জন্য সেখানে রাষ্ট্র গঠনের চেষ্টার তারা বিরোধিতা করে।
১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় ইসরায়েল পূর্ব জেরুসালেম দখল করে এবং ১৯৮০ সালে পুরো শহরকে সংযুক্ত করে। তবে তাদের এমন পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কখনও স্বীকৃতি পায়নি।
#ইনিউজ৭১/জিয়া/২০২১
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।