বিশ্বে করোনায় আরও ১৬ হাজার মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার ২৩শে জানুয়ারী ২০২১ ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন
বিশ্বে করোনায় আরও ১৬ হাজার মৃত্যু

চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনা এখনো তাণ্ডব চালাচ্ছে সারাবিশ্বে। প্রতিদিন মৃতের তালিকাতে নাম উঠছে হাজার হাজার মানুষের। সংক্রমিতের তালিকাটাও কম দীর্ঘ হচ্ছে না। প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন অদৃশ্য ভাইরাসটিতে।


শনিবার সকাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ৯ কোটি ৮৭ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আর এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ২১ লাখ ১৬ হাজারের বেশি মানুষ।মহামারির শুরুর পর থেকে বিশ্বের সব দেশ ও অঞ্চলের করোনা সংক্রমণের তথ্য হালনাগাদ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার সূত্রে এমনটা জানা গেছে।


তাদের সর্বশেষ তথ্য বলছে, শনিবার বাংলাদেশ সময় সকাল পৌনে ১০টা নাগাদ বিশ্বে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯ কোটি ৮৭ লাখ ৪৩ হাজার ৪৮৪ জন। একই সময় নাগাদ বিশ্বে করোনায় মোট মারা গেছেন ২১ লাখ ১৬ হাজার ৩৩৬ জন।


ওয়ার্ল্ডোমিটারসের সর্বশেষ তথ্যমতে এখন পর্যন্ত বিশ্বে করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা ৭ কোটি ৯ লাখ ১৭ হাজার ৪৮৫ জন।প্রাণঘাতী ভাইরাসটির থাবায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিতের সংখ্যা ২ কোটি ৫৩ লাখ ৯ হাজার ৪২ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ৪ লাখ ২৪ হাজার ১৭৭ জন।


তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৬ লাখ ৪০ হাজার ৫৪৪ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৫৩ হাজার ২২১ জন।তৃতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮৭ লাখ ৫৫ হাজার ১৩৩ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ২ লাখ ১৫ হাজার ২৯৯ জন।


তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ। যুক্তরাজ্য পঞ্চম। ফ্রান্স ষষ্ঠ। স্পেন সপ্তম। ইতালি অষ্টম। তুরস্ক নবম। জার্মানি দশম। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩০তম।গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট ৫ লাখ ৩০ হাজার ৮৯০ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। একই সময় পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ৭ হাজার ৯৮১ জন।


২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি।২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে অদৃশ্য ভাইরাসটি।