সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাকিস্তানি সুন্দরী তরুণীদের ফাঁদে পড়ে তথ্য পাঁচার ঠেকাতে ভারতীয় নৌবাহিনীর সদস্যদের জন্য স্মার্টফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, নিরাপত্তার কারণে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের মতো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপও ব্যবহার করতে পারবেন না ভারতীয় নৌবাহিনীর সদস্যরা। কলকাতার বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার বলছে, নৌঘাঁটি কিংবা নৌবহর কোনও স্থানেই আর স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবেন না নৌবাহিনীর সদস্যরা। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিবেচনায় এবং গুপ্তচরবৃত্তি ঠেকাতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে নৌবাহিনী।
এর আগে, গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গত ২০ ডিসেম্বর তামিলনাড়ুর বিশাখাপত্তনম, মুম্বাই এবং কর্নাটকের কারওয়ার থেকে ভারতীয় নৌবাহিনীর সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছিল অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ। ‘হানি ট্র্যাপ’র শিকার হয়ে পাকিস্তানে তথ্য পাচারের অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। ওই সাতজন ছাড়াও হাওয়ালা কারবারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা বিশাখাপত্তনমের এক ব্যবসায়ীকে।
অপারেশন ‘ডলফিন নোজ’ নামে ওই তদন্তের সঙ্গে যুক্ত দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা বলেন, গ্রেফতারকৃত সাত নৌ-সদস্য ২০১৭ সালে নাবিক হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। নৌ-বাহিনীর অভ্যন্তরীণ বিধি ভেঙে ফেসবুকে ভিন্ন নামে অ্যাকাউন্ট খোলেন তারা।
২০১৮ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে পাকিস্তানি এক নারীর সঙ্গে আলাপ হয় তাদের। সেখান থেকে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায়। পরে তদন্তে জানা যায়, একজন নন; তিনজন নারী এই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তারা নৌবাহিনীর সদস্যদের ব্ল্যাকমেইল করে বাহিনীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিয়েছেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে এ ধরনের হানি ট্র্যাপের ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। কিন্তু নৌবাহিনীর এই ঘটনা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের মাঝে ব্যাপক চিন্তার উদ্রেক করে।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।