প্রকাশ: ২১ মে ২০২৫, ১১:৫০
বিশ্বের দ্রুততম সুপারকম্পিউটার হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘এল ক্যাপিটান’। এটি তৈরি করেছে হিউলেট প্যাকার্ড এন্টারপ্রাইজ (HPE) এবং এটি ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্রের আইনফোর্ড লিভারমোর ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি। সুপারকম্পিউটারটি প্রতি সেকেন্ডে দুই এক্সাফ্লপস গতিতে কাজ করতে পারে, যা এক ট্রিলিয়ন গুণ গাণিতিক হিসাব এক সেকেন্ডে সম্পন্ন করার ক্ষমতা রাখে।
এল ক্যাপিটানের প্রযুক্তি পারফরমেন্স কেবল গতি নয়, বরং নিরাপত্তা, শক্তি সাশ্রয় ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশ্লেষণের দিক থেকেও অতুলনীয়। এটি মূলত পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হবে, তবে বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য খাতেও এর ব্যবহার হবে বলে জানানো হয়েছে।
এই সুপারকম্পিউটারটি AMD এর তৈরি বিশেষ প্রসেসর এবং গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে, যা বিশাল ডেটা বিশ্লেষণ এবং জটিল হিসাব সম্পাদনে অগ্রগামী ভূমিকা রাখবে। গবেষকরা বলছেন, এল ক্যাপিটান ভবিষ্যতের জলবায়ু পরিবর্তন, মহাকাশ গবেষণা ও ওষুধ আবিষ্কারে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি প্রযুক্তিগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে চীনসহ অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর চেয়ে অনেকটা এগিয়ে রাখবে। চীনও বেশ কয়েকটি এক্সাস্কেল সুপারকম্পিউটার নির্মাণ করেছে, তবে সেগুলোর মধ্যে কোনোটি এখনো বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত তালিকায় শীর্ষে নেই।
এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় হয়েছে এবং এর নির্মাণ শুরু হয় ২০২০ সালে। প্রায় পাঁচ বছরের উন্নয়ন পর্ব শেষে এটি এ বছর পূর্ণ সক্ষমতায় চালু হয়েছে।
এল ক্যাপিটান সুপারকম্পিউটার বর্তমানে বিশ্বের সবেচেয়ে শক্তিশালী মেশিন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও জেনেটিক অ্যালগরিদম উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি চিকিৎসা গবেষণায় যেমন নতুন ওষুধ আবিষ্কারে সাহায্য করবে, তেমনি জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত পূর্বাভাস আরও নির্ভুল করতে পারবে।