ফ্যাসিবাদের পুনরুজ্জীবনে সতর্কতার আহ্বান: উপদেষ্টা মাহফুজ আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার ২০শে জানুয়ারী ২০২৫ ১২:০৮ অপরাহ্ন
ফ্যাসিবাদের পুনরুজ্জীবনে সতর্কতার আহ্বান: উপদেষ্টা মাহফুজ আলম

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ফ্যাসিবাদের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা সক্রিয় হয়ে উঠছে এবং পুরনো ভাবাদর্শিক বন্দোবস্ত আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। রোববার রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে ‘ফ্যাসিবাদের পুনরুজ্জীবন ও জুলাইবিরোধী শক্তি’ শিরোনামে একটি পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান। মাহফুজ আলম উল্লেখ করেন, শাপলা-শাহবাগ ফেরত আনার চেষ্টা চলছে, যা বর্তমান প্রজন্মের জন্য বিপজ্জনক। 


তিনি বলেন, সরকারের সীমাবদ্ধতা রয়েছে এবং সে বিষয়ে জনগণকে ব্যাখ্যা দেওয়া হবে। তবে কালচারাল ফ্যাসিজম এবং পুরোনো অর্থনৈতিক বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে লড়াই করা অপরিহার্য। সামাজিক ফ্যাসিবাদ এবং সেকুলারিস্ট শক্তির ছদ্মবেশী খেলা চিহ্নিত করা উচিত, যা এ প্রজন্মকে ভুল পথে পরিচালিত করতে পারে। মাহফুজ আলম জানান, পাঁচ মাস আগেই এ ধরনের শঙ্কার কথা বলা হয়েছিল এবং তা সত্যে পরিণত হয়েছে। 


উপদেষ্টা মাহফুজ বলেন, জুলাই আন্দোলন ছিল ঐক্যের প্রতীক। অথচ এখন তা বিভক্তির পথে ধাবিত হচ্ছে। রাজনৈতিক জনগোষ্ঠীর পুনর্গঠনের সুযোগ নষ্ট হচ্ছে। তিনি প্রশ্ন করেন, এটি কি কেবল সরকারের দায়, নাকি সকলের সম্মিলিত দায়িত্ব? 


তিনি জানান, সরকার ইতোমধ্যে ১৫০-এর বেশি আন্দোলন মোকাবিলা করেছে এবং অর্থনীতিকে সংকট থেকে রক্ষা করেছে। একইসঙ্গে আগ্রাসী পররাষ্ট্রনীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে। জুলাই শহীদদের পুনর্বাসন ও বিচার কার্যক্রমেও সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু ভাবাদর্শিক গোঁড়ামি ও বিদেশি চাপ এ দেশের উন্নয়নের সম্ভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। 


তিনি বলেন, সরকার জনগণের দাবি পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে গণমাধ্যম এবং কালচারাল শক্তিগুলো যেভাবে শহীদ ও আহতদের সঙ্গে অবিচার করছে, তা অমার্জনীয়। এ প্রজন্ম এ বিশ্বাসঘাতকতার হিসাব রাখছে। 


তিনি সতর্ক করে বলেন, যারা জুলাই আন্দোলনের মিত্র সেজে পেছন থেকে আঘাত করেছে, তাদের কোনো জায়গা নেই। জনগণ তাদের কাজের জন্য উপযুক্ত জবাব দেবে। জনগণের সামনে নিজেদের কাজ ও পরিকল্পনা তুলে ধরার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে মাহফুজ আলম বলেন, শত্রুদের চিহ্নিত করতে হবে এবং মিত্রদের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। 


মাহফুজ আলমের আহ্বান দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। তার বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি মূলত একটি ঐক্যবদ্ধ ও জবাবদিহিতার সংস্কৃতি তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন, যা দেশের ভাবাদর্শিক বিভক্তি দূর করতে সহায়ক হতে পারে।