সারাদেশের ন্যায় পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলায় শিশুরা ভয়কে জয় করে টিকা নিয়েছে। ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের।মাটিরাঙ্গায় ৫-১১ বছর বয়সের পেডিয়াট্রিক ফর্মুলেশন ফাইজার বায়োএনটেক কোভিট-১৯ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজ তৃলা দেব।
মঙ্গলবার (১১অক্টোবর ২০২২ইং)সকাল ১০টার দিকে মাটিরাঙ্গা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির ৪০৫জন শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়।
এসময় মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা:মো:খায়রুল আলম,মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা:মিল্টন ত্রিপুরা, মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ভারপ্রাপ্ত মো:মঞ্জর মোর্শেদ খান, সহকারি শিক্ষা অফিসার অনুপম শীল, মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো:আব্দুল মালেক সহ শিক্ষকগন উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম দিন মাটিরাঙ্গা উপজেলার ১৮টি স্কুলে শিশুদের টিকা প্রদান করা হয়েছে মাটিরাঙ্গা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এদিন প্রথম টিকা নেয় প্রাক-প্রাথমিক শ্রেনীর শিক্ষার্থী পার্থ ত্রিপুরা, দ্বিতীয় শ্রেনীর মাহফুজা ফারিহা সাহস করে এগিয়ে গিয়েছিল কোভিড -১৯ টিকা নেওয়ার জন্য। ভয় না পেলেও অল্প একটু ব্যথা লেগেছে বলে জানান মাটিরাঙ্গা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক শ্রেনীর শিক্ষার্থী পার্থ ত্রিপুরা, ও দ্বিতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী মাহফুজা ফারিহার।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা:মো:খায়রুল আলম বলেন,শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা পেডিয়াট্রিক ফর্মুলেশন ফাইজার বায়োএনটেক কমিউনিটি টিকা শিশুদের দেওয়া হবে। এই টিকার দুই ডোজ আট সপ্তাহের ব্যবধানে নিতে হয়। প্রথমে শিশুদের স্কুলকেন্দ্রিক টিকাদান শুরু হবে। পরবর্তীকালে তা কমিউনিটি পর্যায়ে দেওয়া হবে।প্রথম পর্যায়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলার জন্য ৩হাজার টিকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছেন বলে জানান তিনি।
ইতিমধ্যেই সুরক্ষা ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে এসব শিশুদের রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। এই ক্ষেত্রে শিশুদের ১৭ ডিজিটের ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করতে হবে। নিবন্ধনের পর করোনা টিকা কার্ড প্রদর্শন করে নিকটস্থ স্কুল ভ্যাক্সিনেশন সেন্টার ও পরবর্তী সময়ে কমিউনিটি পর্যায়ে (স্কুলবহির্ভূত শিশু) নিকটস্থ কেন্দ্র থেকে টিকা নিতে পারবে।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজ তৃলা দেব বলেন, শিশুদের কোভিড-১৯ প্রতিরোধে প্রাথমিক পর্যায়ে ৫-১১বছরের শিশুদের জন্য টিকাদানের ব্যবস্থা করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, শিক্ষকদের মাধ্যমে অভিভাবক দেরকে বাচ্চাদের টিকা দেয়ার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে যারা টিকার রেজিস্ট্রেশন করেননী আপনারা বাচ্চাদের জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে টিকা প্রদান করার জন্য আহবান জানিয়ে তিনি আরো বলেন আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকা রয়েছে সকল বাচ্চা পর্যায়ক্রমে টিকা পাবে বলে জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।