টেকনাফ বন্দরে নোঙর করলো আরাকান আর্মি মুক্ত দুটি জাহাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
আমান উল্লাহ কবির,নিজস্ব প্রতিনিধি টেকনাফ (কক্সবাজার)
প্রকাশিত: সোমবার ২০শে জানুয়ারী ২০২৫ ০৪:২৭ অপরাহ্ন
টেকনাফ বন্দরে নোঙর করলো আরাকান আর্মি মুক্ত দুটি জাহাজ

মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির আটক থেকে মুক্তি পাওয়ার চার দিন পর দুটি পণ্যবাহী জাহাজ টেকনাফ স্থলবন্দরে নোঙর করেছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাহাজ দুটি বন্দরের জেটি ঘাটে পৌঁছায়। মিয়ানমার থেকে টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওনা করা জাহাজ তিনটি গত ১৬ জানুয়ারি নাফ নদীতে আরাকান আর্মির হেফাজতে আটক হয়।  


জানা যায়, আটককৃত জাহাজগুলোতে ৫৬ হাজার বস্তা সুপারি, আচার, শুঁটকি, কসমেটিকস, কফি সহ বিভিন্ন পণ্য ছিল। এগুলো আমদানি করেছিলেন ওমর ফারুক, শওকত আলী, এহতেশামুল হক বাহাদুর, ছিদ্দিক, সাদ্দাম হোসেন, এমএ হাশেম এবং ওমর ওয়াহেদ প্রমুখ। 


টেকনাফ স্থলবন্দরের ম্যানেজার ছৈয়দ আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মিয়ানমার সশস্ত্রগোষ্ঠী জাহাজগুলোর মালামালের কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কথা বলে সেগুলো হেফাজতে রেখেছিল। চার দিন পর দুটি জাহাজ বন্দরে পৌঁছালেও তৃতীয় জাহাজটির বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।  


টেকনাফ স্থলবন্দর সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর জানান, আরাকান আর্মি হেফাজতে থাকা জাহাজগুলোর মধ্যে দুইটি সোমবার টেকনাফে এসে পৌঁছায়। এটি দীর্ঘ চার দিনের অচলাবস্থার অবসান ঘটিয়েছে। তবে এখনও একটি জাহাজ ফেরত না আসায় সংশ্লিষ্টদের উদ্বেগ কাটেনি।  


পণ্যবাহী জাহাজগুলো ১২ জানুয়ারি মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন বন্দর থেকে টেকনাফের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল। পথে ১৬ জানুয়ারি মংডু শহরের কাছে হাইয়ন খালী এলাকায় জাহাজগুলো আটকে দেওয়া হয়। আটককৃত পণ্যের মধ্যে সুপারি এবং শুঁটকির মতো মূল্যবান সামগ্রী থাকায় আমদানিকারকদের বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।  


স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, এমন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তারা সরকারের কাছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন।  


জাহাজ দুটি টেকনাফ বন্দরে পৌঁছানোর পর স্থানীয় প্রশাসন এবং বন্দরের কর্মকর্তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। তবে তৃতীয় জাহাজটি এখনও আরাকান আর্মির হেফাজতে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।  


এ ঘটনায় আমদানিকারকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ব্যবসার সুরক্ষায় দুই দেশের মধ্যে স্থলবন্দর সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করা উচিত। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, দ্রুত তৃতীয় জাহাজটিও বন্দরে ফিরে আসবে।