টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হামলার শঙ্কা গোয়ালিয়রে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক
সৌম্যা সাহা , কলকাতা প্রতিনিধি ভারত
প্রকাশিত: শুক্রবার ৪ঠা অক্টোবর ২০২৪ ০৫:১৭ অপরাহ্ন
টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হামলার শঙ্কা গোয়ালিয়রে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা

আগামী রোববার (৬ অক্টোবর) ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ভারতের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে গোয়ালিয়রের শ্রীমন্ত মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে, যা বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হবে। শেষ দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের পর এই টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিয়ে উন্মাদনা বাড়ছে।


স্থানীয় প্রশাসন ম্যাচটি নির্বিঘ্নে আয়োজনের জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ভারতের হিন্দু মহাসভার বিক্ষোভের জেরে সকল ধরনের বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর রুচিকা চৌহান নির্দেশনা দিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক প্রচারণা বন্ধ রাখতে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্টের পরামর্শ অনুযায়ী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত বিক্ষোভসহ সব ধরনের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।


ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (বিএনএসএস) আইনের ১৬৩ ধারা অনুযায়ী এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন নিশ্চিত করেছে যে, ম্যাচের সময় কোনও ধরনের ধর্মীয় উত্তেজনা ও সহিংসতা এড়াতে তারা কঠোর অবস্থানে রয়েছে।


গত আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে হিন্দুদের বিরুদ্ধে হামলা ও নির্যাতনের অভিযোগ তুলে কিছু সংগঠন গোয়ালিয়রে এই ম্যাচটি বাতিলের দাবি তোলে। এবারই প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করতে যাচ্ছে শ্রীমন্ত মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়াম, যেখানে ৩০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা রয়েছে।


ম্যাচটি ঘিরে ‘গোয়ালিয়র বন্ধ’-এর ডাক দেয় হিন্দু মহাসভা এবং অন্যান্য সংগঠনগুলো। সেই প্রেক্ষাপটে মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এমপিসিএ) ও স্থানীয় প্রশাসন নিরাপত্তা জোরদার করেছে। ক্রিকেটারদের হোটেল থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর কড়াকড়ি বাড়ানো হয়েছে।


এছাড়া, ধর্মীয় উত্তেজনা উসকে দেয় এমন যেকোনো পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাঁচজনের বেশি একত্র হওয়া, আতশবাজি বহন, এবং ধারালো অস্ত্রপাতি নিয়ে চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ঘোষণা করেছে যে, ম্যাচের আশপাশে কেরোসিন, পেট্রল ও অ্যাসিড বহন করা যাবে না।


বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচটি ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য একটি বিশেষ মুহূর্ত, তবে নিরাপত্তার কারণে স্থানীয় প্রশাসন যে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা প্রয়োজনীয় বলেই মনে হচ্ছে।