হার্ট অ্যাটাকের খুব স্বাভাবিক একটি উপসর্গ বুকে ব্যথা ও চাপ অনুভব। কিন্তু সব ধরনের হার্ট অ্যাটাকে মোটেও ব্যথা হয় না। খুব একটা চাপও লাগে না। সামান্য কিছু অস্বস্তিতেই ভেতরে ভেতরে বড়সড় ক্ষতি হয়ে যায়। আর এই হার্ট অ্যাটাক কখন কোন ফাঁকে হানা দেয় তা জানা সম্ভব হয় না অনেক সময়ই। মূলত এই প্রকারের অ্যাটাকের উপসর্গ একটু একটু করে দীর্ঘ সময় ধরে আসে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বে যত মানুষের হার্ট অ্যাটাক হয়, তার ৪০ শতাংশ সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকের শিকার। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের মতে, সাধারণত পুরুষের তুলনায় মেয়েরা এই রোগের শিকার হন বেশি। অনেক সময় সচেতনতার অভাবে হালকা বুকের ব্যথাকে গ্যাসের ব্যথা বলে বসে থাকেন। সচেতনতার অভাবেই এসব অসুখ ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারও ক্ষেত্রে হার্ট থেকে ব্যথা বয়ে নিয়ে যাওয়ার যে স্নায়ু তা অনেক সময় কাজ করে না।
ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির কারণেও এমনটা হতে পারে। কারও আবার ব্যথা সহ্য করার ক্ষমতা বেশির কারণে তাদের শরীরে এন্ডরফিনের ক্ষরণ বেশি। আবার আর্টারি পুরো বন্ধ হয়ে গিয়ে নিজ থেকে খুলে পরে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় হার্টের মাসল। পরে শ্বাসকষ্ট হলে ইসিজি, ইকো বা টিএমটি করলে তা বোঝা যায়। অন্য যেসব উপসর্গ দেখা দিতে পারে তাহলো- একটানা নয় কিন্তু মাঝে মাঝে চিনচিনে ব্যথা সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম লক্ষণ। অনেক সময় সারা বুক জুড়ে চাপ বা ব্যথা হতে পারে। বুকের পেশীতেও চাপ পড়তে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। একটুতেই হাঁপিয়ে যেতে পারেন, কোন কাজ না করে বসা অবস্থায়ও ক্লান্তি আসতে পারে।
সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক এড়ানোর উপায়-
* হার্ট অ্যাটাক মানেই কেবল বুকে ব্যথা এমন নয়, বরং হাত, ঘাড় ও দুই কাঁধের মধ্যেও ব্যথা হতে পারে। ব্যথা বুক থেকে ছড়িয়ে পড়ে হাতে। এমন ব্যথা যে প্রবল হবে তা নয়, চিনচিনে ব্যথা হলেও তাকে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হন।
* কোলেস্টেরল ও ওবেসিটি থাকলে সচেতন থাকুন, প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর লিপিড-প্রোফাইল পরীক্ষা করান।
* নিয়মিত শরীরচর্চা ও হাঁটাহাঁটি বজায় রাখুন।
* ডায়েটে বাদ দিন তেল-মশলার আধিক্য। যোগ করুন সবুজ শাকসব্জি ও ফলমূল।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।