কলাপাড়ায় আংশকাজনক হারে বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী

নিজস্ব প্রতিবেদক
রাকিবুল ইসলাম তনু, জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২৫শে মার্চ ২০২১ ১২:৫৫ অপরাহ্ন
কলাপাড়ায় আংশকাজনক হারে বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আংশকাজনক হারে বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। মার্চের মাঝামাঝি থেকে এ রোগের প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। এদিকে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শয্যা না থাকায় করিডোরের মেঝেতে ঠাঁই হয়েছে অনেক রোগীদের।


কলাপাড়া হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১৮ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত ৭৭ জন ডায়রিয়া জনিত কারণে চিকিৎসা নিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নয় জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতলে ভর্তি হয়েছে। 


হাসপাতালে ঘুরে দেখা গেছে, ভ্যাপসা গরমের কারণে বৈদ্যুতিক পাখার বাতাসেও স্বস্তি মিলছেনা রোগীদের। স্বজনরা অনবরত হাত পাখা নাড়িয়ে বাতাস করছেন। আবার অনেক রোগীর স্বজনরা বেড না পেয়ে কর্মরত নার্স ও আয়াদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন। 


এদিকে ডায়রিয়া আক্রান্ত অধিকাংশ রোগী হাসপাতালে ভর্তি থাকায় চিকিৎসক ও জনবল সংকটে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা। তবে পর্যাপ্ত ওষুধ এবং স্যালাইন মজুত আছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে রোগীদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।


ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশু তানহা’র পিতা মমিন গাজী বলেন, সোমবার রাতে তার কন্যা শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরের দিন মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিয়ে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসি। বেড না থাকায় বাধ্য হয়ে তীব্র গরম সহ্য করে মেঝে শুইয়ে তার কন্যার চিকিৎসা করাচ্ছেন। ডায়রিয়া আক্রান্ত অপর শিশু রাইসুল ইসলামের পিতা মিজানুর রহমান বলেন, বুধবার তার সন্তান অসুস্থতা দেখা দিলে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসেন। অনেক কষ্টে একদিন পর বেড পেয়েছেন।


হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স পিয়ার বেগম বলেন, পার্শ্ববর্তী আমতলী ও তালতালী উপজেলার কিছু সংখ্যক রোগী এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছে। এ কারনে রোগীর চাপ বেশি থাকে। এছাড়া ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ৮১ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। আমরাও প্রতিনিয়ত রোগীদের সেবা দিচ্ছি।


উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার চিন্মময় হাওলাাদার জনান, শয্যা স্বল্পতা থাকলেও আমরা রোগীদের উন্নত সেবা প্রদানের সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। আর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী যারা এসেছে তাদের চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত ঔষধের সরবারহ রয়েছে।