স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘টিকা নেয়ার পর শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, এমন একটি ব্যক্তিরও কোনো রকমের অঘটনের কথা আমরা শুনিনি। যে টিকাটি দেয়া হচ্ছে, সেটি ভালো এবং সহনশীল বলে প্রমাণিত। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি সিরাম ইনষ্টিটিউটের আরও ২০ লাখ টিকা আসছে।’
তিনি বলেন, ‘গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তি, যারা টিকাদান কেন্দ্রে আসতে পারছেন না, তাদের কাছে কিভাবে টিকা পৌঁছানো যায় সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। করোনা টিকা পাওয়া থেকে কেউ বঞ্চিত হবে না। সারাদেশে লাখ লাখ মানুষ আনন্দের সঙ্গে উৎসবমুখর পরিবেশে টিকাদান কেন্দ্রে এসে করোনার টিকা নিচ্ছেন।’
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রম পরিদর্শন ও সুরক্ষা অ্যাপের কার্যক্রম উদ্বোধনের পর গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তার সঙ্গে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এবং ডিজি হেলথ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ খুরশীদ আলম উপস্থিত ছিলেন।স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শুরুর সাতদিনে রেজিষ্ট্রেশন ছিল মাত্র ১৫ হাজার, পরবর্তীতে এ সংখ্যা প্রতিদিন বেড়ে লাখ-লাখে পৌঁছেছে। সঙ্গত কারণেই টিকার ডেট পেতে দেরি হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি টিকা কেন্দ্রে নিবন্ধন সংখ্যা ও টিকাদানের কোটা রয়েছে। সে হিসেবে টিকা সরবরাহ, টিকা প্রদানকারীসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা রয়েছে। কোথাও বেশি মানুষ আসবে ভাবা হলেও কম লোক আসছে, আবার কোথাও কম আসবে ভাবা হলেও বেশি লোক আসছে। সেক্ষেত্রে প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর্মকর্তারা বসে টিকা দেয়ার বিষয়টি হিসাব করে ভারসাম্য রক্ষা করার চেষ্টা চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।