গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চার নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গোটা বিভাগে মোট ৫৫ জনের মৃত্যু হলো।
এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে একই সময়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত আরো ৩৯১ জন রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে ভর্তি হয়েছেন। আর এ নিয়ে গোটা বিভাগের ৬ জেলার সরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ১ হাজার ১৫০ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার মলুহার এলাকার লিপি (৪২) নামে এক নারী পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার চালিতাবুনিয়া এলাকার অঞ্জলি রাণী (৫০) পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
এছাড়া ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার আয়েশা বেগম (৫০) ও বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কহিনুর বেগম (৫৫) বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৩৯১ জন ডেঙ্গুরোগীর মধ্যে ৬১ জন বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া ৩৫ জন পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে এ দুই হাসপাতালে বর্তমানে ৩৫৮ জন ডেঙ্গুরোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এছাড়া বরিশাল জেলার অন্যান্য হাসপাতালে ৭৩ জন, পটুয়াখালীতে ৪৮ জন, ভোলায় ৪২ জন, পিরোজপুরে ৬৬, বরগুনায় ৫৩ ও ঝালকাঠিতে ১৩ জন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হয়েছেন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের হাসপাতালগুলোতে ষোল হাজার ৫৯৭ ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হয়েছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন পনের হাজার ৩৯২ জন। এদিকে চলতি বছর গোটা বিভাগে পঞ্চান্ন জন ডেঙ্গুরোগীর মৃত্যু হয়েছে। যারমধ্যে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩২ জন, পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ জন, বরিশাল জেলার অন্যান্য হাসপাতালে ২ জন, বরগুনায় হাসপাতালে ৫ জন, পটুয়াখালীতে ১ জন, পিরোজপুরের হাসপাতালে ৫ জন এবং ভোলায় হাসপাতালে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ দাস বলেন, ডেঙ্গু রোধে সচেতনতাই জরুরি। মানুষ সচেতন না হলে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমানো যাবে না।
তিনি বলেন, বিভাগের সব সরকারি হাসপাতালগুলোতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ডেঙ্গুরোগীদের গুরুত্ব দিতে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।