জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ১৪ তম প্রতিষ্ঠা বাষির্কী (২০ অক্টোবর) উদ্যাপন করতে ৬ টি ব্যান্ড দলের আয়োজনে থাকছে কনসার্ট। এসব ব্যান্ডের সবকটিই জবির শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের দ্বারা গঠিত ও পরিচালিত। এসব ব্যান্ড ও লোক গানের দলের মধ্যে রয়েছে অভিকর্ষ, ট্রাভেলার্স, মনের মানুষ, আবোল-তাবোল, স্বপ্নবাজি এবং গল্প।
জবির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে এসব দলের অংশ গ্রহনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্যান্ডের কর্ণধারগণ। মনের মানুষের কর্ণধার ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, আমরা যথাযথ প্রস্তুতি নিচ্ছি কনসার্টকে ঘিরে। আমরা চেষ্টা করব আমাদের নিজম্ব গান গুলো দিয়ে শ্রোতাদের মন জয় করতে। মনের মানুষের বিখ্যাত গান গুলোর মধ্যে রয়েছে সানভীর মাহমুদ- ফতেহ আলী আকাশের কথা ও সুরে ‘মনের মানুষ কোথায় পাই..., লাল জবা ফুল..., বাদশা’র কথা ও সুরে ‘পাইলাম নারে অন্তরের খবর.., সোহান ও আকাশের ‘আহারে আহারে..’ বাদশা’র কথায় ও আকাশের সঙ্গীত পরিচালনায় সোহাগীনি প্রণয়িনী...’ সহ বেশ কয়েকটি মৌলিক গান।
‘ট্রাভেলার্স’ ব্যান্ডের সদস্য জোবায়ের সিদ্দিক জেমস বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যান্ড সোসাইটিকে কনসার্ট এর সুযোগ দেয়ায় নতুন একটি সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। ভবিষ্যতে যেন এমন ধারাবাহিকতা বজায় থাকে এটাই চাওয়া। ট্রাভেলার্স ব্যান্ডের গান গুলোর মধ্যে রয়েছে ক্যাম্পাস আড্ডা, ব্রাউন সুগার, সুন্দরীতমা প্রভৃতি।
অভিকর্ষ ব্যান্ডের সাথে যুক্ত আছেন বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফজলে এলাহি চৌধুরী অভী বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আরো বেশ কিছু ভালো শিল্পী আছেন যারা গাওয়ার আমন্ত্রণ পাননি। পরবতীতে তাদেরকেও আমন্ত্রণ জানানো হলে ভালো হবে। এতে শ্রোতারা তাদের ভালো লাগার বিষয়টি খুঁজে নিতে পারবেন। অভির্কষ ব্যান্ডের বিখ্যাত গান গুলোর মধ্যে রয়েছে অভিকর্ষ ব্যান্ডের সদস্য ইংরেজী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৌম্য সরকারে বানী ও সুরে ‘আবার নত হও মানুষ, এবার বসন্তে প্রভৃতি। আবোল তাবোল ব্যান্ডের গান গুলোর মধ্যে রয়েছে- নীলিমা, কোম্পানীর প্রচারের জন্য প্রভৃতি। এছাড়াও কনসার্ট এ গাইবে স্বপ্নবাজি ও গল্প ব্যান্ড দল। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে দিবসের বিশেষ আকর্ষণ থাকছে মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মিত নাটক ‘লাল জমিন’। জবিতে লাল জমিনের ২০৮তম মঞ্চায়ন হবে।
সামগ্রিক বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড.মীজানুর রহমান বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসের অনেক শিক্ষক, শিক্ষার্থী আছেন যারা দেশে ও দেশের বাইরেও বিভিন্ন সঙ্গীত অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন। তাই আমরা এবার বাইরের কোন শিল্পী এনে কনসার্ট করছি না। নিজেদের শিল্পীরাই সঙ্গীত ও কনসার্ট করবে। আমার এখন স্বনির্ভর। এখন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন অনুষ্ঠানে বাইরের শিল্পী আনা হবে না। আশা করছি অন্যান্য বারের চেয়েও এক অন্যবদ্য কনসার্ট উপহার দিতে পারবেন তারা। এবার মহান মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মিত নাটক ‘লাল জমিন’ মঞ্চায়িত হবে। নাটকটি এক ঘন্টার সামান্য একটু বেশি হলেও এর মতো হৃদয় স্পর্শ করা নাটক কমই হয়েছে। এছাড়া এবার আমরা কোন স্পন্সর নেই নি। নিজেরাই আয়োজন করছি।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।