জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বুধবার এক মর্মান্তিক ঘটনার মাধ্যমে শামীম মোল্লা নামের এক সাবেক ছাত্রকে গণপিটুনির শিকার হতে হয়েছে। নিহত শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
ঘটনাটি ঘটে প্রান্তিক গেট সংলগ্ন একটি দোকানে, যেখানে শামীমকে লক্ষ্য করে একদল শিক্ষার্থী হামলা চালায়। খবর পেয়ে প্রক্টরিয়াল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাকে নিরাপত্তা অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে নিরাপত্তা অফিসের গেট ভেঙে পুনরায় হামলা চালানো হলে শামীম গুরুতর আহত হন। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করে আট শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বহিষ্কৃতদের মধ্যে রয়েছেন সরকার ও রাজনীতি বিভাগের রাজু আহম্মেদ ও রাজন মিয়া, ইংরেজি বিভাগের হামিদুল্লাহ সালমান এবং ইতিহাস বিভাগের জুবায়ের আহমেদসহ আরও কিছু ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, শামীমের উপর হামলার ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে, যা বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ড হিসেবে গণ্য হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম জানিয়েছেন, "এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
শামীম মোল্লার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন অভিযোগ ছিল, যার মধ্যে মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ এবং চাঁদাবাজির মতো গুরুতর অপরাধও অন্তর্ভুক্ত। তবে অনেকেই দাবি করেছেন, এই ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক প্রতিশোধের বিষয়ে তদন্ত হওয়া উচিত।
জাবি ক্যাম্পাসে নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তারা দ্রুত বিচার এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছেন। এই ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর প্রশ্ন উঠেছে, যা ক্যাম্পাসের পরিবেশকে অস্থির করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।