প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৫, ১৮:৪৬
চলতি বছরের জুন মাসের প্রথম ২৮ দিনে প্রবাসীরা দেশে প্রায় ২৫৩ কোটি ৯২ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা টাকায় দাঁড়ায় ৩১ হাজার কোটি টাকার বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে রোববার এ তথ্য জানানো হয়েছে। এই রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিতে নতুন চাঙ্গাভাব তৈরি করেছে, বিশেষ করে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট মোকাবিলায় এটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাপ্ত রেমিট্যান্সের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৫৫ কোটি ৬৪ লাখ ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৬ কোটি ১২ লাখ ডলার এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে সর্বাধিক ১৬১ কোটি ৬১ লাখ মার্কিন ডলার। এসব ব্যাংকের কার্যকরী উদ্যোগ, রেমিট্যান্স উৎসাহমূলক নানা প্রকল্প ও সরকারের ভর্তুকি প্রণোদনা রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে, চলতি বছরের মার্চ মাসে এক মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছিল, যেখানে প্রবাসীরা বৈধ পথে পাঠিয়েছিলেন ৩৩০ কোটি ডলার। সেই রেকর্ড ভাঙে মে মাসে, যখন রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৯৭ কোটি ডলার, যা এপ্রিলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭৫ কোটি ডলারকেও অতিক্রম করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির এই ধারা ধরে রাখতে হলে প্রবাসীদের জন্য অর্থ প্রেরণের প্রক্রিয়া আরও সহজ করতে হবে এবং হুন্ডির মতো অবৈধ পন্থা বন্ধে কঠোর নজরদারি জারি রাখতে হবে। এছাড়া ব্যাংকিং সেবা উন্নত ও দ্রুততম সময়ে টাকা প্রেরণের সুবিধা নিশ্চিত করাও এই প্রবাহ ধরে রাখতে সহায়ক হতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে, রেমিট্যান্স প্রবাহের এই ধারা রিজার্ভ বাড়াতে সহায়তা করছে এবং সামগ্রিক অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
এই অবস্থায় সরকারের পাশাপাশি ব্যাংকগুলোকে আরও সক্রিয় হয়ে প্রবাসীদের সঙ্গে সংযোগ বজায় রাখতে এবং তাদের চাহিদা অনুসারে উন্নত সেবা দিতে হবে। এতে করে বৈদেশিক আয়ে আরও উন্নতি সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।