গোপনে নিজ খামারের হরিণ জবাই করে মাংস ও চামড়া পাচারকালে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহারের এনজিও আলোশিখা সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক জেমস্ মৃদুল হালদার।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে দশটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার ওসি মোঃ গোলাম ছরোয়ারের নেতৃত্বে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে হরিণ খামারের মালিক জেমস্ মৃদুল হালদারসহ চারজনকে আটক করেছে। এসময় পাচারের উদ্দেশ্যে ৩৭টি পলিথিনে রাখা ৩৭ কেজি হরিণের মাংস ও ছয়টি হরিণের চামড়া জব্দ করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে থানার ওসি মোঃ গোলাম ছরোয়ার বলেন, রাজিহার গ্রামের জেমস্ মৃদুল হালদার তার কর্মচারী একই গ্রামের খোকন সরকার, নবগ্রামের বিপ্লব সরকার ও আহুতি বাটরা গ্রামের সুনীল চন্দ্র হালদারকে নিয়ে খামারের ছয়টি হরিণ জবাই করেন। পরবর্তীতে মৃদুলের পরিচালিত আলোশিখা সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্র এনজিও’র তৃতীয় তলায় বসে ছয়টি হরিণের মাংস বিভিন্ন লোকজনের কাছে বিক্রি করছিলেন। এ খবর পেয়ে আলোশিখা এনজিও’র তৃতীয় তলা থেকে জেমস মৃদুলসহ উল্লেখিতদের আটক করা হয়। এসময় থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩৭টি পলিথিনে রাখা ৩৭ কেজি হরিণের মাংস এবং ছয়টি হরিণের চামড়া জব্দ করেন। এসময় হায়দার আলী নামের আরেক কর্মচারী পালিয়ে যায়।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, নিজের এনজিও’র মধ্যে সু-বিশাল হরিণের খামার করে দীর্ঘদিন থেকে জেমস মৃদুল প্রায়ই গোপনে হরিণ জবাই করে মাংস বিক্রি করে আসছিলেন। এছাড়াও খামারের মালিক মৃদুল হালদার বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে হরিণ বিক্রি করে সরকারের বিপুল পরিমান রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছিল।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।