প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ১২:৩৩
গত সাত মাসে মোট ১৮৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ১ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকার কর ফাঁকির তথ্য উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আওতাধীন নবগঠিত আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট। সোমবার ১৪ জুলাই এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর এ তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, এই সময়ে ৬৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে কর বাবদ ১১৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা উদ্ধার করে ২৩১টি এ-চালানের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, নবগঠিত ইউনিটটি মাত্র সাত মাসের মধ্যেই রাজস্ব পুনরুদ্ধার, কর ফাঁকি সনাক্তকরণ এবং প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। জনবল ও লজিস্টিক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও ইউনিটটি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তারা শুরু থেকেই গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে সুনির্দিষ্টভাবে কর ফাঁকির উৎস চিহ্নিত করে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
ইতিমধ্যে শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব অন্তর্বর্তীকালীনভাবে জব্দ করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে নির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে কর ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে। এতে কর ফাঁকিবাজদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এবং সৎ করদাতারা উৎসাহিত হচ্ছেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ভাষ্য অনুযায়ী, এই গোয়েন্দা ইউনিট শুধু তদন্তই করছে না, বরং দেশের রাজস্ব আহরণে একটি কার্যকর বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। করদাতাদের স্বেচ্ছায় সঠিক কর প্রদানের জন্য উৎসাহিত করার পাশাপাশি যারা কর ফাঁকি ও বেনামি সম্পদের মাধ্যমে অর্থ পাচারে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ইউনিটটি।
এনবিআর বলছে, ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত পরিসরে গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করা হবে। এর মাধ্যমে কর ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং সঠিক কর আদায় নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
প্রতিষ্ঠার শুরুতেই এমন কার্যকর ভূমিকা দেশের রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় একটি ইতিবাচক বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে এবং রাষ্ট্রের আয় বৃদ্ধিতে এ ধরনের গোয়েন্দা ইউনিটের কর্মতৎপরতা এখন সময়ের দাবি।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশাবাদী, এই ইউনিটের কার্যক্রম আরও জোরালোভাবে সম্প্রসারিত হলে কর ফাঁকির প্রবণতা অনেকাংশে হ্রাস পাবে এবং রাজস্ব আহরণে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।