প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ১২:৪১
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশের ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। সোমবার ১৪ জুলাই সকালে আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবিরের স্বাক্ষরিত এক সতর্ক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এই তিন বিভাগের কোথাও কোথাও ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার এবং কোথাও তার চেয়েও বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে অস্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, লঘুচাপের ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর ফলে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অধিদপ্তর জানায়, চলমান মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় এই পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে। এতে বিশেষ করে নিম্নাঞ্চল ও শহর কেন্দ্রীক এলাকাগুলোতে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে, যা জনজীবনে ভোগান্তি বাড়াতে পারে। ঢাকা শহরের কিছু এলাকায় ইতিমধ্যে পানি জমার লক্ষণ দেখা দিয়েছে, যা পরিস্থিতির অবনতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় ও স্থানীয় প্রশাসনকে বৃষ্টিজনিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল রাখতে ময়লা-আবর্জনা অপসারণের কাজ ত্বরান্বিত করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
সরকারি দপ্তরগুলোর পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বিশেষ করে নিন্মাঞ্চলবাসী, নদী ও উপকূলবর্তী এলাকায় বসবাসরতদের পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে এবং আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ তথ্য অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, দেশের অন্য বিভাগগুলোতেও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে এবং কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বরিশাল ও খুলনার উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে।
বৃষ্টির কারণে শহরজুড়ে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কাও করা হচ্ছে। অফিসগামী মানুষ ও শিক্ষার্থীদের যেন অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করে চলাফেরা করতে হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে।