বরিশালে দপদপিয়া সেতু থেকে মাত্র পাঁচ দিনের এক নবজাতককে কীর্তনখোলা নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নবজাতকের মা ঐশি আক্তার এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। বুধবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটার পর থেকে নবজাতকের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি গোপন থাকলেও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তা জানাজানি হলে নগরীতে আলোড়ন তৈরি হয়।
এদিকে, নবজাতকের মা ঐশি আক্তারকে শারীরিক অসুস্থতা ও বিষণ্ণতার কারণে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্বজনরা জানান, হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে তার নাম পরিবর্তন করে রাবেয়া লিখেছেন। বর্তমানে তিনি সেখানেই আছেন। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি দল তাকে ও তার স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
নবজাতকের বাবা সোহেল আহমেদ বলেন, “গত ১০ জানুয়ারি শেবাচিম হাসপাতালে আমার স্ত্রী একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। এরপর সোমবার স্ত্রী ও সন্তানকে শ্বশুরবাড়িতে রেখে আসি। বুধবার আমার স্ত্রী নবজাতককে নিয়ে দপদপিয়া সেতুতে গিয়ে নদীতে ফেলে দেয়। আমার সন্তানের কোনো সন্ধান এখনও পাইনি। আমি এ ঘটনায় স্ত্রী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।”
নবজাতকের মামা মো. মাসুদ জানান, তার বোন শারীরিক অসুস্থতা ও বিষণ্ণতায় ভুগছেন। হাসপাতালে ভর্তির পর তিনি কিছুই বলতে পারছেন না। তবে শিশুটির কোনো খোঁজ মেলেনি।
হাসপাতালের নার্সরা জানান, নবজাতকটি গত শুক্রবার শেবাচিম হাসপাতালে জন্ম নেয়। সোমবার তাকে মায়ের সঙ্গে বাসায় নেওয়া হয়। বুধবার নবজাতকের মাকে ফের হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে শিশুটিকে আর দেখা যায়নি।
বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, “বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি। মায়ের মানসিক অবস্থার কারণে স্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।”
ঘটনার পর নবজাতকের মায়ের মানসিক ও শারীরিক অসুস্থতা, তার বিষণ্ণতা এবং পরিবারের অব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এই ঘটনার পেছনের কারণ উদঘাটনে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।